হবিগঞ্জে চুরি হওয়া ৩ মোটর সাইকেল উদ্ধার: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০১৫, ১২:১৭ অপরাহ্ণবলা হয়ে থাকে, ‘সেবাই পুলিশের ধর্ম; পুলিশ জনগণের বন্ধু’। কিন্তু সবক্ষেত্রেই বাস্তবতা এরকম নয়। কখনো কখনো দৃশ্যমান হয় এর উল্টো চিত্র। তবে সদিচ্ছা থাকলে যে, ‘সবই পারে পুলিশ’ এমনটি আবারো প্রমান করেছে হবিগঞ্জের ডিবি পুলিশ। ঘটনার গল্পটি বড় কিংবা নতুন নয়। ছোট্ট মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা! যা প্রায়শই ঘটে হবিগঞ্জসহ সারা দেশে। কিন্তু ঘটনার শিকার ভুক্তভোগীরা এসবের কূল-কিনারা পেয়েছেন এমন দৃষ্টান্ত খোদ পুলিশের ডায়েরিতেই বিরল। জানা যায়, শহরের শায়েস্তানগরস্থ হবিগঞ্জ ডিবি’র এসআই আব্দুল করিমের বাসা থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে তার মোটর সাইকেলটি চুরি হয়। পুলিশ বলে কথা! তাই জেলাজুড়ে শুরু হয় সাড়াশি অ্যাকশন, চিরুনী অভিযান। মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই সফল সমাপ্তি ঘটে ক্লান্তিহীন এ অভিযানের। শায়েস্তাগঞ্জের কদমতলী গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় এসআই করিমের চোরাইকৃত মোটর সাইকেলসহ ৩টি মোটর সাইকেল। সেই সাথে পৃথক স্থান থেকে আটক হয় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ ব্যক্তি। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবি’র এসআই সুদীপ রায়, ইকবাল বাহার ও আব্দুল করিম।
পুলিশ সূত্র জানায়, ডিবি’র এসআই আব্দুল করিমের মোটর সাইকেলটি চুরি হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই শনিবার দিবাগত গভীর রাতে শায়েস্তাগঞ্জ রেল কলোনি থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয় আব্দুল কাদির (৩০) নামে এক যুবককে। সে হবিগঞ্জ শহরতলীর সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের আবু মিয়ার পুত্র। আব্দুল কাদিরকে আটক করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি শায়েস্তাগঞ্জের কদমতলী গ্রামে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এসময় ওই গ্রামের মুখলেছ মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় এসআই করিমের চুরিকৃত মোটর সাইকেলসহ ৩টি মোটর সাইকেল এবং সেইসাথে আটক করা হয় আব্দুস শহিদ (২২) নামে অপর আরেক যুবককে। আটককৃত আব্দুস শহিদ মৌলভীবাজার জেলার দোয়া মিয়া গ্রামের সামসু মিয়ার পুত্র। উদ্ধারকৃত মোটর সাইকেলগুলো হল ডিসকভার ১৩৫ (সিলেট-ল-১১-৩৭৫৫), হিরো স্পেন্ডার (ঢাকা মেট্রো-হ-৪০-০৪৮০) ও নাম্বার বিহীন ১০০ সিসির একটি ডিসকভার। পরে আটককৃত কাদির ও শহিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি লস্করপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হক (২২) কে। নাজমুল হক ওই গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র।
এদিকে, রবিবার দিনব্যাপী আটককৃতদের তথ্যানুযায়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ডিবি। তবে এসব অভিযানে কাউকে আটক কিংবা কোনকিছু উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে এসআই আব্দুল করিম জানান, মোটর সাইকেলটি চুরি হওয়ার রাতে তিনি বাসায় ছিলেন না। হজ্ব ফেরত ভাইকে রিসিভ করার জন্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন। উল্লেখিত সময়ে চোরেরা বাসার গেটের তালা কেটে সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়।
. . . . . . . . .