বিদেশি খুন : শুটার জুয়েল আটক
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ অক্টোবর ২০১৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণগুলশানে ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার ও রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে কিলার গ্রুপের এক সদস্যকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে ‘শুটার জুয়েল’ নামে ওই ভাড়াটে খুনিকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
তবে তাকে দুই বিদেশি নাগরিক খুনের ঘটনায় আটক করা হয়েছে কি না এমন তথ্য ডিএমপির কোনো উর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্বীকার করেননি। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যার ঘটনা তদন্তে অনেককেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। কিলার গ্রুপের একটি সম্ভাব্য তালিকা তারা হাতে পেয়েছেন।
ডিবির একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ বাড্ডা শিমুল তুলা বাজার এলাকা থেকে ডিবির একটি টিম শুটার জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জুয়েলের বাবার নাম সোহরাব। শিমুল তুলা বাজারে তার বাড়ি।
অভিযোগ রয়েছে, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় ভাড়ায় কিলিং মিশনে অংশ নেয় জুয়েল। কয়েক বছর আগে বাড্ডা এলাকার অন্যতম সন্ত্রাসী হিরণকে খুনের মধ্য দিয়ে শুটার জুয়েল আলোচনায় আসে।
ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, জুয়েলের সঙ্গে দুই বিদেশি খুনের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতালীয় নাগরিক খুনের ঘটনা তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ পর্যন্ত রুবেল, আলমগীর, লায়েজ উদ্দিন ও রাসেলসহ ১০/১২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরা গুলশান, বাড্ডা ও মহাখালী এলাকায় ভাড়াটিয়া কিলার গ্রুপের সদস্য বলে দাবি করা হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, সিআইডিতে ব্যালাস্টিক টেস্ট রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্টে ইতালীয় নাগরিক খুনে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ ক্ষমতার পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি আরো জানান, ডিবিতে সম্ভাব্য কিলার গ্রুপের যেসব সদস্য আটক আছে, তাদের কাছ থেকে এ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ কেউ এ হত্যায় জড়িত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের পাশে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তাভেল্লা সিজার (৫০)। এরপর ৪ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ার আলুটারি এলাকায় জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে একই কায়দায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
. . . . . . . . .