রাজন হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দেবেন ওসি, বরখাস্তকৃত ওসি সহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০১৫, ৪:২৭ অপরাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক:
বহুল আলোচিত শিশু শেখ সামউল আলম রাজন হত্যা মামলার নবম কার্য দিবসের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর)। মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শেষ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পূণরায় নতুন তারিখ ধার্য্য করবেন বলে জানা গেছে।
আজ শেষদিনে আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন ছয় পুলিশ কর্মকর্তা। এই ছয় পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন, রাজন হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা একই থানার বরখাস্তকৃত (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন, একই থানার এসআই আরিফুল আমিন, এসআই শামীম আকঞ্জি, এএসআই সোহেল রানা ও সুনামগঞ্জের দিরাই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মহাদেব
বাঁছাড়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শওকত আলী এ ব্যাপারে বলেন, মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত মোট ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এবার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবেন। বৃহস্পতিবার শেষ ধার্য্য তারিখ শেষে শুনানির জন্য নতুন তারিখ ধার্য্য করা হবে।
এর আগে গত ১ অক্টোবর প্রথম দিনে সাক্ষী দেন মামলার বাদী জালালাবাদ থানার বরখাস্তকৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান আলম। এরপর ৪ অক্টোবর রাজনের মা লুবনা বেগম ও চাচা আল আমিনসহ ৪ জন।
তন্মধ্যে ৭ অক্টোবর ৪ জন, ৮ অক্টোবর ৪ জন, ১১ অক্টোবর ৩ জন, ১২ অক্টোবর ৪ জন ও ১৩ অক্টোবর ৪ জন, ১৪ অক্টোবর ৪ জনসহ মোট ২৯ জন সাক্ষী দেন।
এদিকে রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে ভ্যান চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে গত ১৩ জুলাই আটক হন কামরুল।
কামরুল ছাড়াও রাজন হত্যা মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ, পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
রাজনকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ও গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। এর মধ্যে মুহিদের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি সৌদি পালিয়ে যান। কিন্তু ১৩ জুলাই সৌদি প্রবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
. . . . . . . . .