কামরুল এলো দেশে
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০১৫, ৪:২৪ অপরাহ্ণঅবশেষে ফিরিয়ে আনা হলো শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামী কামরুল ইসলামকে। আজ বিকেলে কামরুলকে নিয়ে সৌদি থেকে ঢাকায় পৌছেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। আলোচিত এই হত্যার ৩ মাস ৭ দিন পর অবেশেষে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো প্রধান অভিযুক্তকে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমরা কামরুলকে নিয়ে ঢাকা পৌছেছি। আজ বিকাল ৩টার পর আমাদের ফ্লাইট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গত ১১ অক্টোবর তিন সদস্যের পুলিশ দল কামরুলকে ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরব যায়। ওই টিমে রয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ ও বিমানবন্দর থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন।
তারা ইন্টাপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনেন কামরুলকে।
গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে ভ্যান চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে গত ১৩ জুলাই আটক হন কামরুল।
রাজন হত্যার ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, কামরুল ইসলাম লাঠি হাতে রাজনকে মারধর করছেন।
এই হত্যা মামলার অপর আসামীরা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতেও কামরুলকে রাজন হত্যার জন্য দায়ী করেন।
কামরুল ছাড়াও রাজন হত্যা মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ, পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
রাজনকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ও গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। এর মধ্যে মুহিদের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি সৌদি পালিয়ে যান। কিন্তু ১৩ জুলাই সৌদি প্রবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদারতে রাজন হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ চলছে। আজকে পর্যন্ত ৩৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এই মামলায় আরো তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে গত ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার।
এরপর ২২ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
আসামিদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতকদের মধ্যে কামরুলের ভাই সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা শামীম আহমদের সঙ্গে পাভেল আহমদ নামে আরেকজন রয়েছেন। কামরুলের আরেক ভাই এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
. . . . . . . . .