রাজন হত্যা: ৫ম দিনে সাক্ষ্য দিচ্ছেন আরো ৩ জন
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০১৫, ২:৩৫ অপরাহ্ণসিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় ৫ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। রবিবার দুপুর ১২টা থেকে আরো ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন।
আজ রবিবার আদালতে সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হচ্ছেন পশ্চিম জাঙ্গাইলের বাসিন্দা মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ারুল হক, কুমারগাঁয়ের বাসিন্দা জাকিরের ছেলে বেলাল আহমদ ও দকির গ্রামের বাসিন্দা ইসকন্দর আলীর ছেলে আবদুল হান্নান।
রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী শওকত চৌধুরী জানান, আজ ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজন হত্যা মামলায় মোট ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
তিনি জানান, আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর এ মামলায় টানা সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন আদালত।
গত ৮ অক্টোবর সিলেট নগরীর কুমারগাঁয়ের বাসিন্দা লুৎফুর রহমান, বাবুল মিয়া, কাচা মিয়া ও পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা কাঁচা মিয়া ওরফে কচি আদালতে সাক্ষ্য দেন।
৭ অক্টোবর রাজনের গ্রাম বাদেআলির ইশতিয়াক আহমদ রায়হান, নিজাম উদ্দিন, পার্শ্ববর্তী গ্রাম অনন্তপুরের আবদুজ জাহির মেম্বার, শেখপাড়ার পংকি মিয়া সাক্ষ্য প্রদান করেন।
গত ৪ অক্টোবর আলোচিত এই হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন রাজনের মা লুবনা বেগম, জিয়াউল হক, আল আমিন ও মাসুক মিয়া। তবে মাসুক মিয়া আসামিপক্ষে কথা বলা শুরু করলে বাদিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে বৈরী ঘোষণা করতে আদালতে আবেদন জানান।
এর আগে গত ১ অক্টোবর রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মামলার বাদি জালালাবাদ থানার এসআই (বরখাস্তকৃত) আমিনুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
তারও আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযুক্তরা হচ্ছেন সৌদিতে আটককৃত সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আবদুল মালিকের ছেলে কামরুল ইসলাম, পলাতক থাকা তার ভাই শামীম আহমদ, পলাতক থাকা দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল, কামরুলের ভাই গ্রেফতারকৃত মুহিদ আলম, আলী হায়দার, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নগরীর জালালাবাদ থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
হত্যার পর লাশ গুম চেষ্টার অভিযোগে আদালতের বিচারক মুহিদ আলম, ময়না চৌকিদার, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল ও শামীম আহমদের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগ এনেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সৌদিতে আটককৃত কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ এবং আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখানো হয়। আদালত ২৪ আগস্ট, সোমবার চার্জশিট আমলে নেন। পরদিন, ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করে নগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ।
গত ৩১ আগস্ট রাজন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি পলাতক কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজন হত্যা মামলা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।
. . . . . . . . .