ঢাকার সাথে সিলেটের দূরত্ব কমছে ৪৫ কিলোমিটার
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০১৫, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল নাছিরনগর হয়ে লাখাই-হবিগঞ্জ সড়ক দিয়ে সিলেটে যাতায়াতের দ্বার উন্মোচন হবে বৃহস্পতিবার। হবিগঞ্জের বলভদ্র নদীর উপর নির্মিত সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে এ সড়কটি চালু হবে। বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ব্রীজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি চালু হলে ঢাকার সাথে সিলেটের দূরত্ব কমবে ৪৫ কিলোমিটার। সময় বাঁচবে ১ ঘন্টা।
এ ব্রীজটি চালু হলে এই বিকল্প মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার সাথে হবিগঞ্জ তথা বৃহত্তর সিলেটের দূরত্ব কমে যাওয়ার পাশাপাশি কিশোরগঞ্জের কিছু এলাকার লোকজনও এ রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারবে।
২০০৯ সালে মহাজোট সরকার এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির জন্য ২শ’ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। মূল ব্রিজ নির্মাণের আগে বিকল্প বেইলি সেতু নির্মাণের জন্য হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এক কোটি টাকা বরাদ্দ আনেন। সেটির টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হলে স্থান নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে ব্রিজের নির্মাণ কাজ স্থবির হয়ে পড়ে।
এসময় জাতীয় সংসদে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এমপি আবু জাহির। অবশেষে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে বলভদ্র নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার আহবান করা হয়। বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব অনুযায়ী হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকড়ি ও ফান্দাউক বাজার দুটির বাইপাস সড়কের সোজাসুজি স্থানটি ব্রিজের জন্য নির্ধারিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বিশেষজ্ঞদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রস্তাবিত স্থানে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের জন্য নির্দেশ দেন।
ব্রিজটি নির্মিত হওয়ায় হবিগঞ্জ-লাখাইর মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হলো।
হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান জানান, ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সিং এর আয়োজন করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বলেন, এই ব্রীজটি নির্মাণ করা এবং আঞ্চলিক মহাসড়কটি চালু করা ছিল আমার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। অনেক প্রতিকূলতার পর ব্রীজটি নির্মাণ হয়েছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
. . . . . . . . .