প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেলেন না গভর্নর, পদত্যাগের গুঞ্জন
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মার্চ ২০১৬, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণগণভবনে টানা আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেলেন না বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
সোমবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি গণভবন ত্যাগ করেন।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক’ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আটশ কোটি টাকা চুরির ঘটনা মাসব্যাপী গোপন রাখা, দেশজুড়ে সমালোচনা, অর্থমন্ত্রীসহ সিনিয়র মন্ত্রীদের অসন্তোষের মুখে ব্যর্থতার বোঝা কাঁধে নিয়ে আতিউর রহমান পদত্যাগ করতে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
সূত্রগুলো জানায়, মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রীর ডকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরের পদত্যাগ/পদচ্যুতির বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। এর আগে রাতের মধ্যে বা সকালে পদত্যাগ না করলে গভর্নরকে অপসারণ করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এতোবড় কেলেঙ্কারি ও বিতর্কের মধ্যে তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লী গিয়েছিলেন। সোমবার বিকেলে দেশে ফিরেই তিনি সচিবালয়ে যাবেন এ জন্য অর্থমন্ত্রীসহ কর্মকর্তারা অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তিনি সেখানে যাননি। বাংলাদেশ ব্যাংকেও নয়। সন্ধ্যায় তিনি যান গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।
কিন্তু শেষ ভরসা প্রধানমন্ত্রীও তার সঙ্গে দেখা করলেন না। ফলে আরো জোরালো হয়ে ওঠে আতিউরের পদত্যাগের গুঞ্জন।
বুধবার রিজার্ভ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনা জানতে পারেন গভর্নর। সেদিন ব্যাংকের কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে এ নিয়ে জরুরি বৈঠকও করেন। কিন্তু কাউকে কিছুই অবহিত করেননি।
বৃহস্পতিবার খবরটি প্রচার করে ফিলিপাইনের একটি পত্রিকা। সঙ্গে সঙ্গে সে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে দেশময়। কিন্তু এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলেই দিল্লি যান গভর্নর। ফলে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের উদ্রেগ হয় সবার মধ্যে।
বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রণালয়কে এ খবর না জানানোয় ভীষণ ক্ষুব্ধ হন অর্থমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ নিয়ে গভর্নরের বিরুদ্ধে অর্থমন্ত্রী নালিশ করেন। এর আগে এতোবড় ঘটনার মধ্যে তাদেরকে অবহিত না করে দিল্লি যাওয়ায় প্রধামনন্ত্রীও নাখোশ হন। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রীসহ সিনিয়র মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সেখানেই ড. আতিউরের বিদায় নিশ্চিত হয়।
সর্বশেষ সোমবার দিল্লি থেকে কারও সঙ্গে দেখা না করেই রাতে সোজা গণভবনের যান গভর্নর। কিন্তু সেখান থেকেও নিরাশ হয়ে ফিরে আসেন।
সূত্রগুলো বলছে, মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আতিউরের বিদায় ও নতুন গভর্নর নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন।
. . . . . . . . .