করোনা প্রতিরোধে সকল সংগঠকদের প্রতি একটি বিশেষ অনুরোধ
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ এপ্রিল ২০২০, ১:৩৫ পূর্বাহ্ণবিশ্বনাথ উপজেলাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সহস্রাধিক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও ক্রীড়া সংগঠন রয়েছে। করোনা সচেতনতায় অধিকাংশ সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে। আমি একজন ক্ষুদ্র সংগঠনকর্মী হিসেবে একটি বিশেষ অনুরোধ করতে চাই…
আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সিলেটেও আজ এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত। তিনি দুই সপ্তাহে কত রোগী দেখেছেন বা কতজনের সংস্পর্শে গিয়েছেন তার হিসেবে টা হয়তো আরো দুই সপ্তাহ পর আন্দাজ করা যাবে। আজ আইডিসিআর মহা পরিচালক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, এ পর্যন্ত কয়েক লাখ ফোন এসেছে। তার মানে হয়তো সকলে করোনায় আক্রান্ত নয়। তবে আশংকার বাইরেও নয়। এমন যদি হয় তাহলে ভাবুন কি ভয়াবহ দিনগুলো আমাদের সামনে আসছে। উন্নত ও প্রভাবশালী দেশগুলো যখন করোনার কাছে হার মানছে, সেখানে আমাদের দেশ তো কিছুই করার নেই।
তবুও দেশের বর্তমান সরকারের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন সাধ্যের চেয়েও বেশি কাজ করছে। কিন্তু আমাদের চলাফেরায় বুঝাই যাচ্ছে না যে দেশে একটা মহামারী আছে। আমরা এখনো করোনার মতো মহামারীকে ভয় করছি না, ভয় করছি পুলিশ আর সেনাবাহিনীকে।
এই পরিস্থিতিতে সংগঠনকর্মিদের অনেক দায়িত্ব আছে। অনেক গ্ৰাম এলাকা জিবানুনাশক স্প্রে, খাদ্য বিতরণ, সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এর চেয়ে একটা ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নিলে হয়তো করোনা প্রতিরোধ সম্ভব। নিজ গ্ৰাম বা এলাকাকে লকডাউন করা। এই লকডাউন হবে আগামী দুই সপ্তাহ গ্ৰাম বা এলাকায় কেউ ঢুকতে পারবেনা আবার গ্ৰামের কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। অতি মারাত্মক সমস্যায় পড়লে খুব বেশি সতর্ক হয়ে বের হতে হবে।
তবে লকডাউন করলে নিম্ন আয়ের মানুষের সমস্যা হবে, তাই তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ বা খাবার গ্ৰামের বিত্তশালীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দিতে হবে। তিন চারজনের দুইটি টিম একটি গ্ৰামে দুই সপ্তাহ কাজ করলে এর সুফল পাবেন। প্রতিটি গ্ৰামে গ্ৰামে এমন উদ্যোগ প্রয়োজন।
আসুন উদ্যোগী হই, নিজ এলাকাকে সুরক্ষিত রাখি।
একটা উদ্যোগই, সুরক্ষিত রাখতে পারে আমাদের নিজ এলাকাকে।
ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজে নিরাপদে থাকুন, পরিবারকে নিরাপদে রাখুন।
নবীন সোহেল
সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী . . . . . . . . .