সাংগঠনিক কমিটি পুনর্গঠন করছে বিএনপি
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ৪:৩৯ অপরাহ্ণ
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক গতিশীলতা আনতে বিভিন্ন ইউনিটে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠনে ব্যস্ত সময় পার করছে দলটি। নীতি নির্ধারকরা বলছেন, ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতেও চলছে সাংগঠনিক পুনর্গঠন।
গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর এখন অনেকটা স্বাধীনভাবেই রাজনীতিতে সরব বিএনপি। দলটির প্রায় সব নেতাকর্মী জেল থেকে ছাড়াও পেয়েছেন । দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, তাদের চোখ এখন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখন যদি বলা হয় যে আপনারা কখন নির্বাচন চান? এই নির্বাচনের জন্যই তো আমরা লড়াই করছি। তাই বিতর্ক না বাড়িয়ে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া, যেই নির্বাচনে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দেবেন। যেসব রাজনৈতিক দল জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সামর্থ্য নেই, তারা নানা ধরনের কথা বলতে পারেন। যেমন- এখনো সময় হয়নি, আরও সময় লাগবে, আরও পরিবর্তন দরকার- এ ধরনের কথা তারা বলতে পারেন।
ইতোমধ্যে ভেঙে দেওয়া মহানগর কমিটিগুলো আংশিক পুনর্গঠন করেছে বিএনপি। চলছে জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন। জাতীয় নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রীয় কাউন্সিলও করার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চোধুরী বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যে আমাদের কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত নেতৃত্ব উঠে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের বাহক। নির্বাচনে যাওয়া, নির্বাচন করা, জনগণের মতামতের আস্থার ভিত্তিতে রাজনীতি করাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি।
বসে নেই দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনও। কমিটি পুনর্গঠনসহ সারা দেশে চলছে কর্মীসভা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ইতোমধ্যেই ছাত্রদল ৩৮টি সাংগঠনিক টিম গঠন করেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা সাংগঠনিক স্ট্রাকচার শক্তিশালী করবো। কেন্দ্রের অধীনে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে এবং মহানগর ও জেলার যে ইউনিটগুলো রয়েছে, সেগুলোর কাজ আমরা ইতোমধ্যে শুরু করেছি।
যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, পার্টির সর্বোচ্চ মহলের বার্তা তৃণমূলের কাছে যেমন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি, তেমনি দলকে গোছানোর ক্ষেত্রেও পর্যবেক্ষণ করছি। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোকে সাংগঠনিক নতুন ভিত দেওয়ার জন্য পর্যবেক্ষণ করছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কিন্তু স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই কিন্তু দলের সম্পদ।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, গত ১৫/১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছি। যাদের রক্ত ঝরেছে, তাদের মূল্যায়ন করব না তো বসন্তের কোকিলদের মূল্যায়ন করব? সেটা কখনো হতে পারে না। আমরা অবশ্যই ত্যাগী এবং যারা রাজপথে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছেন, তাদেরকে কমিটিতে ভালো জায়গায় রাখবো।
রাজনীতি/আবির