অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসার ফি বেড়ে দ্বিগুণ
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুলাই ২০২৪, ৩:২৭ অপরাহ্ণবিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদন ফি দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি করেছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে গেলে ভিসার আবেদন ফি বাবাদ এক হাজার ৬০০ অস্ট্রেলীয় ডলার (এক হাজার ৬৮ মার্কিন ডলার) ব্যয় করতে হবে। এতোদিন এই ফির পরিমাণ ৭১০ অস্ট্রেলীয় ডলার ছিল।
এছাড়াও নতুন নিয়ম অনুযায়ী, টেম্পরারি গ্র্যাজুয়েট ভিসাধারী শিক্ষার্থী এবং ভিজিটর ভিসাধারীদের যারা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন, তারা সেখান থেকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
গত কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড হারে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে। মার্চের প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে এ বছর পর্যন্ত নতুন অভিবাসীর সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়ে পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ হয়েছে, যা একটি নতুন রেকর্ড।
এই অভিবাসনে লাগাম টানতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দেশটির সরকার। সর্বশেষ আজ ভিসার আবেদন ফি বাড়ানোর মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
অস্ট্রেলীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ থেকে যেসব নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে, তা আমাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সমন্বয় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে এবং এমন একটি অভিবাসন প্রক্রিয়া তৈরি করবে, যা আরও ন্যায্য, আকারে ছোট ও অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা পূরণের উপযোগী।’
যুক্তরাষ্ট্র (১৮৫ মার্কিন ডলার) ও কানাডার (১১০ মার্কিন ডলার) চেয়ে আগে থেকেই স্টুডেন্ট ভিসার ফিস বেশি ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। এবার আরও বাড়ল এই খরচ।
এর আগে গত মে মাসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যাংক সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভিসা পেতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এর আগে ২৪ হাজার ৫০৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সঞ্চয় দেখাতে হতো। মে মাসে এই পরিমাণটি বাড়িয়ে ২৯ হাজার ৭১০ ডলার (১৯ হাজার ৮২৩ মার্কিন ডলার) করা হয়। আর এর সঙ্গে এবার নতুন করে ভিসা ফি বাড়ায়, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার খরচ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।
এদিকে সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্ত ভালো চোখে দেখছেন না ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ার সিইও লুক শেহি। তিনি বলেন, সরকারের এই অব্যাহত নীতি পরিবর্তনের কারণে এই খাত ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এটি আমাদের অর্থনীতি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো হবে না। এই দুটি বিষয়ই বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেয়া ফির ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
আন্তর্জাতিক/আবির