ওসমানীনগরে আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
ওসমানীনগর সংবাদদাতা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৮ অপরাহ্ণওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে সম্রাট আবাসিক হোটেলের ৩১১ নম্বর কক্ষ থেকে রুহেল মিয়া (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মৃত ব্যবসায়ীর ভাই মাজহারুল ইসলাম লাশটি উদ্ধার করেন। তবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি হোটেলে একজন মহিলাকে সাথে নিয়ে উঠেছিলেন বলে জানা গেছে।
লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রুহেলের ভাই মাজহারুল ইসলাম। রুহেল মিয়া ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম তিলাপাড়া গ্রামের আকল মিয়ার ছেলে এবং বুরুঙ্গা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফ্যামেলি শপের মালিক। রবিবার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রুহেল মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গোয়ালাবাজারস্থ সম্রাট আবাসিক হোটেলের ৩১১ নম্বর কক্ষে উঠেন ব্যবসায়ী রুহেল মিয়া। এসময় তার সাথে জনৈক এক মহিলা ছিলেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ওই মহিলার নাম তাহেনা বেগম। তবে হোটেল রেজিস্ট্রারে মহিলার কোন নাম পরিচয় লিপিবদ্ধ নেই। হোটেলে উঠার আনুমানিক ৪০ মিনিট পর রুহেলের সাথে থাকা মহিলা হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানায় রুহেল খুব অসুস্থ বোধ করছে। এসময় তিনি রুহেলের দোকানে কর্মচারীকে ফোন করার জন্য বলেন।
কক্ষে গিয়ে ব্যবসায়ীর শারীরিক অবস্থা দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল ফোন থেকে ভাইয়ের নাম্বারে কল করে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে ভাই মাজহারুল ইসলাম রুহেলকে নিস্তেজ অবস্থায় হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে পুলিশ নিহত রুহেলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
সম্রাট আবাসিক হোটেল ম্যানেজার সুজন দাশ ও কর্মচারী রাজেন্দ্র কুমার তালুকদার বলেন, আমাদেরে রেজিস্ট্রারে ডাক্তার দেখানোর কারণ দেখিয়ে শনিবার বিকেলে জনৈক এক মহিলাকে সাথে নিয়ে বিশ্রামের জন্য ৩১১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন ব্যবসায়ী রুহেল মিয়া। আনুমানিক ৪০ মিনিট পর ওই মহিলা রুহেলের শারীরিক অবস্থা খারাপ বলে আমাদের জানালে কক্ষে গিয়ে রুহেলের অবস্থা দেখে আমরা তার মোবাইল থেকে বাড়িতে ফোন করে খবর জানাই। খবর পেয়ে তার ভাই এসে নিস্তেজ অবস্থায় তাকে নিয়ে যায়। তবে জনৈক ঐ মহিলা হোটেল থেকে চলে যাওয়ার সময় আমরা তার ছবি তুলে রেখেছি। জনৈক ওই মহিলা রুহেলের দোকানের ক্রেতা ও চাচাতো বোন বলে পরিচয় দিয়েছিলেন বলে জানান তারা।
রুহেলের ভাই মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই সুস্থ অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। হঠাৎ খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে হোটেল সম্রাট থেকে আমার ভাইকে নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃতের কারণ জানা সম্ভব হবে। এঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
সিলেটসংবাদ/হান্নান