দাদা থেকে আমি,আমরা তিন প্রজন্ম আওয়ামীলীগ : এলিম চৌধুরী

সৈয়দ রাসেল আহমদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ
আওয়ামীলীগের জন্মলগ্ন থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে আমাদের সম্পর্ক: এলিম চৌধুরী
গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম বলেন আমার পরিবার একশো ত্রিশ/চল্লিশ বছর ধরে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আমার দাদা থেকে শুরু করে,আমার বাবা,আমার বড় ভাই ফারুক আহমদ চৌধুরী, বড় ভাই ইকবাল আহমদ চৌধুরী জনগণের জন্য কাজ করে গিয়েছেন এবং আজ আপনাদের কারণে আমিও মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।
কয়েকদিন আগে গোলাপগঞ্জ উপজেলা মাঠে এক সমাবেশে তিনি ও তার পরিবার যে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন সেই বিষয় তুলে ধরেন সাধারণ মানুষের সামনে।
এলিম চৌধুরী বলেন,আওয়ামীলীগের জন্মলগ্ন থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে আমার পরিবারের সম্পর্ক। আমার বড় ভাই ফারুক আহমদ চৌধুরী ও ইকবাল আহমদ চৌধুরী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাথে ছিলেন,আমিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে মাঠে আছি,এবং জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছি।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমি এবং আমার পরিবার আপনাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো,যতদিন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আছি,ততদিন আপনারা নির্দ্বিধায় যেকোন প্রয়োজনে আমার কাছে আসতে পারবেন।আমার কাছে আসতে কোন মাধ্যম ধরতে হবে না, গোলাপগঞ্জের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে।
প্রসঙ্গত, এলিম চৌধুরীর বড় ভাই ফারুক চৌধুরী ও ইকবাল চৌধুরী বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশ ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই ধরা হয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ইকবাল আহমেদ চৌধুরীর বিশেষ কদর ছিলো শেখ পরিবারে। তাই প্রবীণ বয়সে এসেও বার বার দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বগুণের কারণে বয়সের বিষয়টি আমলেই নেননি সাধারণ মানুষ।
বড় ভাই ফারুক চৌধুরী ও ইকবাল চৌধুরীর কাছ থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি শেখা এলিম চৌধুরীও যেন একই পথে হাঁটছেন। যেখানেই হাত দিচ্ছেন সফলতার দেখা পাচ্ছেন।
একেবারে আড়াল থেকে এসে অল্প সময়েই মানুষের মন জয় করে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে করেছেন বাজিমাৎ। এবার সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নেমেছেন মাঠে।আর এতেই অনেক বাঘা বাঘা প্রার্থীদের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে যে চমক দেখিয়েছেন সেই সমীকরণ কোন প্রার্থীরই অজানা নয়। দল থেকে মনোনয়ন পেলে গোলাপগঞ্জে যে আলোড়ন সৃষ্টি হবে তা এখন থেকেই আন্দাজ করছেন অনেকেই।
জন্ম মাটি হিসেবে গোলাপগঞ্জের ভোট কেন্দ্রো গুলোতে যে জনজোয়ার বইবে সেই হিসেব এলিম চৌধুরী নিজেও জানেন,তাই গোলাপগঞ্জের পাশাপাশি বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আগে থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌছানোর চেস্টা করে যাচ্ছেন। এবং এতে ব্যাপক সফলতাও পাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। যেখানেই উঠান বৈঠক করছেন সেখানেই ব্যপক আগ্রহ নিয়ে মানুষ তার কথা শুনতেও দেখা গিয়েছে।
এলিম চৌধুরীকে নিয়ে তৃণমূল আওয়ামীলীগে ব্যপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। দল ক্ষমতায় থেকেও অনেক তৃণমূল আওয়ামীলীগ কর্মী মূল্যায়ন না পাওয়ার ক্ষোভ ঝাড়তেও দেখা গিয়েছে এসব উঠান বৈঠকগুলোতে। তবে এলিম চৌধুরী তৃণমূল কর্মীদের মূল্যায়নের বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে। তাই যেখানেই সভা সেমিনার হচ্ছে সেখানেই তৃণমূল কর্মীদের উপস্তিতি নজর কাড়ছে সবার।