৬শ’ কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে ইউনাইটেড এয়ার
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণপুঁজিবাজার থেকে ফের টাকা তুলছে কার্যক্রম বন্ধ থাকা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। এ দফায় ৬২৪ কোটি টাকা তুলবে কোম্পানিটি। অফিসিয়াল কার্যক্রম ও ফ্লাইট চালুর জন্য এ টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে আইপিও এবং রাইট শেয়ার বাবদ দু’দফায় পুঁজিবাজার থেকে ৪১৫ কোটি টাকা তোলে কোম্পানিটি। কিন্তু পরিচালকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও অর্থ সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ১১টি এয়ারক্র্যাফ্টই গ্রাউন্ডেড হয়ে যায়। মূল অফিস ছাড়াও বেশির ভাগ শাখা অফিস বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করা হয়েছে চাকরিচ্যুত।
বিষয়গুলো স্বীকার করেছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের বোনাস না দেওয়ায় কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। পুঁজিবাজারে মহাধসের পরও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের শেয়ার ৬০-৭০ টাকায় লেনদেন হয়। কিন্তু আস্থাহীনতায় তা ফেসভ্যালুর (১০ টাকা) চেয়েও কমে ৪-৫ টাকায় নেমেছে। এরপরও শেয়ারটি ক্রেতা সংকটে ভুগছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এ কোম্পানিতে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন।
জানা গেছে, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে নতুন করে ৬২৪ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন নিয়েছে।
এর মধ্যে বন্ড ছেড়ে দেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২১৪ কোটি, আর বিদেশি ৬ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শেয়ার বিক্রি বাবদ আরো ৪০০ কোটি টাকা তুলবে। যার মাধ্যমে আগামী নভেম্বরের মধ্যে মোট ৬২৪ কোটি টাকা উত্তোলন করবে কোম্পানিটি।
দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে আইসিবি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রেইজ ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে পাকিস্তানি কোম্পানিসহ ছয়টি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের কাজ করছেন ইউনাইটে এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে ৫০ কোটি টাকার মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১০ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে (আইপিও) ১০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করে।
এরপর ব্যবসা পরিচালনার জন্য আরো টাকা প্রয়োজন হলে ২০১১ সালে ১:১ অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করে। রাইট শেয়ারে ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩১৫ কোটি টাকা তুলে নেয় ইউনাইটেড এয়ার।
কোম্পানিটি ২০১০ সালে ৫ শতাংশ, ২০১১ সালে ১০ শতাংশ, ২০১২ সালে ১৫ শতাংশ, ২০১৩ সালে ১২ শতাংশ, ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ ও ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়ে মূলধন বাড়ায়।
তবে কোম্পানির মূলধন বাড়লেও কমে যায় আয়। এসব বিষয়ে কোম্পানির এমডি বাংলানিউজকে বলেন, অর্থ সংকটের কারণে সব ফ্লাইট ও কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। টাকা সংগ্রহ হলে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
তিনি বলেন, শুরু থেকে একটি পক্ষ কোম্পানির বিরুদ্ধে বাজারে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ ছড়াচ্ছে। বাস্তবে এর মিল নেই।
পরিচালকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়ে তিনি বলে, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। তারপরও কোম্পানির উন্নতিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
. . . . . . . . .