এড.সামসুজ্জামানঃফেরারী জীবনই যার নিয়তি
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০১৬, ১২:২৫ অপরাহ্ণঘরে জায়গা নেই। জায়গা নেই বাইরেও। যেখানে যান সেখানেই উপেক্ষিত। শ’খানেক মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে অবস্থান করেন আত্মগোপনে। গ্রুপের কর্মীরাও ডজন ডজন মামলার আসামি। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে অনেকে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। তাদের অনেকের আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য একমাত্র তিনিই ভরসা। তিনি হলেন সিলেটের আলোচিত বিএনপি নেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান।
এডভোকেট জামান এখন প্রায় লোক চক্ষুর অন্তরালে। চলে গেছেন বনবাসে। ছাত্র জমানা থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করা এডভোকেট জামান দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর সিলেটের রাজপথে অবস্থান করে রাজনীতি করে আসছেন বিএনপির।
রাজনীতির শেষ প্রান্তে এসে ২০১৪ সালের আন্দোলনে অগ্নিমূর্তি ধারন করেন এডভোকেট জামান। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে ওই বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় দেশব্যাপী আন্দোলন। সিলেটের আন্দোলনে এডভোকেট জামান রাজপথের তুঘর সৈনিকে পরিণত হন। পুলিশের শত বাধা ডিঙিয়ে প্রায় প্রতিদিন নগরীতে মিছিল মিটিং করেছেন। যার জন্য তাকে চরম খেসারত দিতে হয়। দফায় দফায় তল্লাশি হয়েছে তার বাড়ি-ঘর। কিন্তু জামান রাত কাটিয়েছেন পাহাড়-জঙ্গলে। এভাবে তিন মাস আন্দোলন করতে করতে গিয়ে তাকে প্রায় শ’খানেক মামলার আসামি হতে হয়েছে। একইভাবে মামলার আসামি হতে হয়েছে নিজ গ্রুপের কর্মীদের।
এডভোকেট জামানকে গ্রেফতার করতে মরিয়া হয়ে উঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জামান এক সময় চলে যান লোকান্তরে। আজো তিনি অবস্থান করছেন লোকান্তরে। তবে নিজ গ্রুপের কর্মীদের আইনি সহায়তা দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এরই মধ্য দিয়ে সিলেট বিএনপির কাউন্সিলের ডাক পড়ে। যথা সময়ে কাউন্সিল সম্পন্নও হয়। কিন্তু জীবনের ঝুঁকির কারণে সে কাউন্সিলে উপস্থিত থাকতে পারেননি এডভোকেট জামান। কাউন্সিলে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু এডভোকেট জামানের স্থান হয়নি কমিটিতে। বলতে গেলে এডভোকেট জামান সিটকে পড়লেন দল থেকে।
. . . . . . . . .