সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সুলতান মনসুরের ক্ষোভ
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জানুয়ারি ২০১৬, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণপ্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বৃহস্পতিবার সিলেট সফর করেছেন। বেলা আড়াইটায় সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিভিন্ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে, সিলেটের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা বিশেষ ভুমিকা রেখেছিলেন তাদের নাম উল্লেখ না করায় ফেসবুক স্ট্যটাসের মাধ্যম নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ঢাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। আওয়ামী লীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় নেতা তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন-
“সিলেটের ঐতিহাসিক আলেয়া মাঠে গন প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ বক্তব্যে বাঙালীর মুক্তি আন্দোলন ,দল গঠন ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পুণ্যভূমি সিলেটের সন্তান হিসেবে যারা ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনী ওসমানী, উপ প্রধান জেনারেল এম এ রব, সাবেক স্পীকার হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম.এস কিবরিয়া, সিলেট অঞ্চলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রান পুরুষ দেওয়ান ফরিদ গাজী সহ জাতীয় নেতৃত্ব ও বাক্তিত্বের নাম উল্লেখ না করায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছি। এমনকি একজন সরকার প্রধান হিসাবে বৃহত্তর সিলেটের উন্নয়নের অন্যতম রুপকার এম , সাইফুর রহমানের নাম উল্লেখ করলে কোনো বিশেষ ক্ষতি হয়ে যেত না। বলাবাহুল্য মাদরাসা মাঠ থেকে জাতীয় নেতৃত্ব হিসাবে আওয়ামীলীগের মঞ্ছ থেকে যাদের কে দিয়ে বক্তব্য দেওয়ানো হয়েছে যথাক্রমে এম এ মুহিত,বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, নুরুল ইসলাম নাহিদ , ও আব্দুল মান্নান এরা কেউ ই ৯০ সালের আগে আওয়ামীলীগ করেন নি । এদের সবাই ৯০ সালের স্বৈরাচার পতনের আগ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভুমিকা রেখেছেন । এবং ৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সরকারের আমলে সুবিদা নিয়েছেন । পরবর্তীতে ৪-৫ দল পাল্টিয়ে আওয়ামীলীগের বিজয় লগ্নে আওয়ামী লীগে যুগদানের মাধ্যমে আজকের ভোটার বিহীন সরকারের সুবিধা ভোগ করছেন। সত্যিকার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও পুন্যভূমির সর্বস্তরের জনগনকে আগামী দিনে সকলের অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনে সুবিদাবাদীদের বিরুদ্ধে সজাগ ও ঐক্যবদ্য হওয়ার আহবান জানাই ।
জয় বাংলা … জয় বঙ্গবন্ধু … জয় হউক বাংলার জনগনের।”
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের ‘সংস্কারপন্থি’ অংশ হিসেবে পরিচিতি পান সুলতান মনসুর। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি থেকে আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবের হোসেন চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, আব্দুল মান্নানের সঙ্গে বাদ পড়েন সুলতান মনসুরও। ওই কমিটিতে তাদেরকে এমনকি দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যও করা হয়নি।
এরপর আওয়ামী লীগের এই ত্যাগী নেতা, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গণমাধ্যমকে বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব মুজিবকোট ছেড়ে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কথা বলে রাজনীতি করব না। মওলানা ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হক ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার চেতনা ধারণ করেই রাজনীতি করব।
ষাটের দশকে স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অভিষিক্ত সুলতান মনসুর সিলেট এমসি কলেজ, মদন মোহন কলেজের ভিপিই হননি, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিরোধযুদ্ধে যান। ‘৭৫-উত্তর দুঃসময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
. . . . . . . . .