মাদরাসা ছাত্র নয়, ‘দুষ্কৃতিকারীরাই’ হামলা চালিয়েছে
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জানুয়ারি ২০১৬, ৭:৪২ অপরাহ্ণমাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু ও পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় মাদরাসা ছাত্ররা নয়, দুষ্কৃতিকারীরাই হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামিয়া ইসলামীয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ।
শুক্রবার সকাল ১১টায় জেলা শহরের কান্দিপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন।
মাদরাসা ছাত্র মাসুদুর রহমানের মৃত্যু বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সোমবার রাত ১১টায় মাদরাসার চতুর্থ তলার মাদানি ছাত্রাবাসে পুলিশ হামলা চালায়। এসময় হাফেজ মাসুদুর রহমানকে রাইফেল দিয়ে আঘাত করে তাকে গুলি করা হয়। পরে চারতলা থেকে তাকে নিচে ফেলে দেয়া হয়। এই ঘটনায় প্রথমেই মাসুদকে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
মোবারক উল্লাহ দোষীদের বিচারের বিষয়ে বলেন, ‘যদি কোনো মাদরাসা ছাত্র সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এ সময় তিনি এসব তাণ্ডবের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
আওয়ামী লীগের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আল্লামা মুনিরুজ্জামানকে উসকানীদাতা হিসেবে দায়ী করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং জেলা আওয়ামী লীগকে তাদের বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে সহিংসতার ঘটনায় এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ জেলা সদর হাসপাতাল, রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য রক্ষার আহ্বানও জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তালিমিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আশেকে এলাহী ইব্রাহিমি, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ, নাজিমাত তালিমাত মুফতি শামছুল হক, জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দেস মুফতি আবদুর রহিম কাসেমী প্রমুখ।
. . . . . . . . .