আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন খালেদা জিয়া
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০১৫, ৩:১৩ অপরাহ্ণহাইকোর্টের আদেশে নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন রেখেছে ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সোয়া বারটার দিকে আদালতের এজলাসকক্ষে পৌঁছান খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান। এর আগে সকাল সোয়া এগারটার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হন তিনি।
খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করতে আদালতে হাজির রয়েছেন তাঁর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, খোরশেদ আলমসহ বিএনপির আইনজীবী নেতারা।
দুদকের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
এদিকে খালেদার আত্মসমর্পণ উপলক্ষে পুরো আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচুর সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। আছেন সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও। তারা তল্লাশি ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। খালেদা আসবেন বলে বাইরে আছেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী সিএসএফ সদস্যরাও।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। পরে এ মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। এ রুলের উপর হাইকোর্টে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ২৮ মে। এরপর আদালত রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন। এরপর ১৮ জুন রুল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
১৮ জুন হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছিলেন, এ মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে চলবে এবং রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার দু’মাসের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের ওই রায়ের কপি ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এসে পৌঁছালে পরদিন ওই আদালতের বিচারক ৩০ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
. . . . . . . . .