বিএনপিতে নীরব সাকার মুরিদরা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণযুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরও চট্টগ্রামে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর শিষ্যরা নীরব। একসময়কার দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই বাকপটু নেতার ছিল দাপুটে সব শিষ্য। নিজ দল এনডিপি বিলুপ্ত করে জাতীয় পার্টির হয়ে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ এবং সর্বশেষ বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে চলে আসেন সাকা চৌধুরী।
স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনতাপরবর্তী রাজনীতির দীর্ঘ যাত্রায় এসব দাপুটে শিষ্যের অনেকে সাকা চৌধুরীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে রাজনীতির মাঠে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। কিন্তু তাদের আদর্শিক গুরুর এই ফাঁসির দণ্ডের আগে-পরে কেউ মাঠেও ছিলেন না। এমনকি কেউ কোনো বিবৃতি দিয়ে কিংবা গণমাধ্যমের সামনে এসে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়াও দেখাননি।
বিষয়টি নিয়ে চাপা গুঞ্জন চলছে চট্টগ্রামের নগরে-বন্দরে। প্রশ্ন উঠেছে-শিষ্যরা কি বুঝেই গিয়েছেন তাদের রাজনৈতিক জীবনে গুরু সাকা চৌধুরীর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে এসেছে?
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাকা চৌধুরী ও তার ভাই গিয়াস কাদের চোধুরীর ছায়াতলে থেকে বর্তমান বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন প্রায় ডজনখানেক নেতা। কিন্তু এই নেতাদের কেউই তাদের রাজনৈতিক গুরু সাকা চৌধুরীর এই অগস্ত্য যাত্রায় গতকাল পর্যন্ত টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেননি কেউ।
তার শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক চাকসু ভিপি ও উত্তর জেলা বিএনপি নেতা এস এম ফজলুল হক, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আবুল হাসনাত, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব উল আলম, নগর বিএনপির একসময়কার দাপুটে নেতা এরশাদ উল্লাহ, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক সদ্বীপের বেলায়েত হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এম এ হাশেম রাজু, সাবেক ছাত্রদল নেতা শাখাওয়াত হোসেন সাগর প্রমুখ।
এ ছাড়া অল্প কিছুদিনের জন্য হলেও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষাবলম্বন করে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন খোদ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন। কিন্তু বিএনপির এই নেতাও সাকা চৌধুরীর এ রায় কার্যকর নিয়ে কোথাও মুখ খুলছেন না।
. . . . . . . . .