সুনামগঞ্জে আ.লীগ’র কাঁধে ভর দিয়ে কাউন্সিলর হবার স্বপ্ন ভঙ্গ!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ নভেম্বর ২০১৫, ৬:৪৬ অপরাহ্ণআশা ভঙ্গ হল সুনামগঞ্জ জেলার সবকটি পৌরসভার দলীয় প্রতিকে নির্বাচন করার আশায় থাকা কাউন্সিলর প্রার্থীদের। জনপ্রিয়তার ধার না ধরেই দলীয় নেতৃত্বের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জেলার সবকটি পৌরসভায় নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সরকারদল আওয়ামী লীগের শতাধিক কাউন্সিলার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তারা পৌর এলাকায় গন সংযোগ সহ পোষ্টার প্লে-কার্ড দিয়ে নিজেদেরকে পরিচিতি করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে সরকারের সংবিধান সংশোধন করে কাউন্সিলার পদে দলীয় প্রতিক প্রত্যাহার করায় আশাহত হতে হয়েছে এসব প্রার্থীদের। তাদের আশা ছিল ক্ষমতাসীন দলের কাঁধে ভর করে কাউন্সিলার হওয়া। কিন্তু সেই সুযোগ আর থাকল না।
সংবিধান সংশোধনের ঘোষণায় দলীয় প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাচ্ছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন তারা কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। সংবিধানের এই সংশোধনীতে সবচেয়ে বেশী লাভবান হয়েছে বিএনপির, জামায়ত ও নির্দলীয় কাউন্সিলার প্রার্থীরা। তাদের আশা দলীয় প্রতিকবিহীন কাউন্সিলর নির্বাচন প্রতিদ্ব›দ্বীতা এনে দেবে। নির্বাচন স্বচ্ছ হলে পৌরসভায় তাদের মনোনীত প্রার্থরাই জয়লাভ করবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান বলেন, কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতিক থাকায় দলের অনেক নেতাকর্মী নির্বাচনের মাঠে কাজ করছিল। পোস্টার ব্যানারে অনেক অর্থও ব্যয় করেছে। কিন্তু সংবিধান সংশোধনীতে কাউন্সিলার পদে দলীয় প্রতিক না থাকায় আশা ভঙ্গ হলো দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের। স্বাভাবিকভাবেই তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেবে। তবে এই সংশোধন নির্বাচন সু-শৃঙ্খলতার জন্যে কাজে আসবে। তৃণমূলে দলের মধ্যে যে কোন্দল তা থেকে দল রেহাই পাবে।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য ফারুক আহমদ বলেন, জোর করে কিছু হয়না। সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন করা উচিৎ। শেষ পর্যন্ত সরকারের কিছুটা হলেও শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তা না হলে দলীয় প্রতিক ব্যাহার করে ক্ষমতাসীন দলেল কাঁধে ভর করে অনেকেই নির্বাচনী বৈতরণী পার পেয়ে যেত। কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতিক না থাকায় স্থানীয় পর্যায়ে বিশৃঙ্খলতা কমে যাবে। তবে নির্বাচন স্বচ্ছ হবার গ্যারান্টি থাকতে হবে।
সুনামগঞ্জ জামায়াতের আমীর তোফায়েল আহমদ বলেন, দলীয় প্রতিকে মেয়র পদে নির্বাচন না করতে পারলেও জেলার সবকটি পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবো। এতে ভাল ফলাফলও নিয়ে আসার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
. . . . . . . . .