কিবরিয়া হত্যা মামলা: ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ নভেম্বর ২০১৫, ২:০৫ অপরাহ্ণপ্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এ নিয়ে মোট ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, আজ আদালতে আবদুর রউফ ও এরফান আলী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১১ ও ১২ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
তিনি জানান, আজ আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জিকে গউছসহ ১৩ জন হাজির ছিলেন। তবে ঢাকায় চিকিৎসাধীন সিসিকের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবী আদালতে হাজিরা দেন।
এডভোকেট কিশোর কর আরো জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার এবং ২৮ ও ২৯ অক্টোবর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না থাকায় আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি।
গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদিপক্ষ আদালতে স্বাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান।
গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন তিন আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী।
প্রসঙ্গত, টানা নয় দফা পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার সকল আসামি সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে হাজির হওয়ায় বিচারক মকবুল আহসান চার্জ গঠন করেন। মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিক’র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান প্রমুখ।
গত ২১ জুন, ৬, ১৪ ও ২৩ জুলাই এবং ৩, ১০, ১৮, ২৫ আগস্ট ও ৬ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সকল আসামি আদালতে হাজির করতে না পারায় চার্জ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
. . . . . . . . .