চাঞ্চল্যকর দীপন হত্যার ঘটনায় ‘তিন হত্যাকারী শনাক্ত ‘ !

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০১৫, ৯:৪২ পূর্বাহ্ণচলতি সপ্তাহে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি কোন ভিডিও চিত্র অথবা প্রমাণ না পেলেও সেদিনের ফুটেজে সংরক্ষিত ভিডিওতে সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে তিন হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবী করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
সংস্থাটির একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রমতে, ‘ ঘটনার দিনের আজিজ মার্কেটের সিসি টিভির ভিডিও ফুঁটেজ দেখে প্রবেশ করা ও বাইরে তাড়াহুড়ো করে ‘পালিয়ে’ যাওয়ার ছবি দেখে সন্দেহ করা হয় ঐ তিনজনকে । এরপর তাদের আরো বেশ কিছু ছবি পর্যবেক্ষণ করে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন, এই তিনজনই সেদিনের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সুত্রটি আরও জানায় , ওই তিন জনের কেউই পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত ছিল না। তাদের কারো মাথায় টুপিও ছিল না। তারা স্বাভাবিক পোশাক পরে কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল।
সংস্থাটির ঐ সুত্রটি সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানিয়েছেন, তারা আজ বা কালকের মধ্যেই এই তিনজনের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য ও ছবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা বিভাগে জমা দেবেন ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে গোপনে বিচরণ করছে জিহাদি গুপ্ত ঘাতকরা। মুক্তমনা প্রগতিশীল প্রকাশক, লেখক, ব্লগারদের টার্গেট করে হত্যা করে যাচ্ছে তারা। তাদের সংখ্যা কত সেই পরিসংখ্যান, সাংগঠনিক কাঠামোর কোন ধারণাই আইন-শৃংখলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে স্পষ্ট নয়।
তবে গোয়েন্দা সংস্থাটির দেয়া তথ্যমতে ‘তিন হত্যাকারীকে প্রাথমিক শনাক্তের’ বিষয়ে জানতে চাইলে, মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে এ ঘটনা তদন্ত করছে। ঘটনা তদন্তে সবকটি গোয়েন্দা বিভাগকে নিয়োজিত করা হয়েছে। কোনো একটি গোয়েন্দা বিভাগ এ ঘটনায় তিন ঘাতককে শনাক্ত করলেও করতে পারে, তবে এ ব্যাপারে আমাকে এখনো জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, শুদ্ধস্বর প্রকাশনায় হামলা ও জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক দীপন খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুইটি মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাদ্রাসাভিত্তিক উগ্র জিহাদি গ্রুপ যারা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট-তাদের মধ্যে থেকে এই হামলা ও খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। . . . . . . . . .