বেতন স্কেল জটিলতা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০১৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বহাল রেখে নতুন বেতন স্কেল নিয়ে জটিলতা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অর্থমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তবে কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ রাখার পাল্লা এখনো ভারী বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভায় নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে কয়েকজন মন্ত্রী ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বলেন, “গ্রেড-১ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবিটা অযৌক্তিক। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চাকরি করেন ৬৫ বছর। আর সচিবরা চাকরি করে ৫৯ বছর। প্রশাসন আর শিক্ষকদের এক করা ঠিক নয়।”
“ওই মন্ত্রী আরও বলেন, ১২ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে ৭৪ জন সচিব। ১১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক রয়েছেন ২৫০ জন।এ বিষয়গুলো বিবেচনা করা হচ্ছে।”
মন্ত্রী জানান, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “১০ বছর পর কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক ধাপ ওপরের বেতন-ভাতা পাবেন। ১৫ বছর পর আবার আরেক ধাপ ওপরে বেতন-ভাতা পাবেন। প্রত্যেক ক্যাডার থেকে গ্রেড ৩, ২ এবং ১-এ যেতে পারবেন। কেউ ১০ বছর এক গ্রেডে চাকরি করলে ১১ বছরে সে অটোমেটিক পরের গ্রেডে যাবে। যদি সে আরও ছয় বছর চাকরিতে থাকে তবে পরের গ্রেডে যাবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অষ্টম পে স্কেলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন পে স্কেলে কারও সুবিধা কমানো যাবে না। আর তাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি, প্রাথমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিসিএস শিক্ষক সমিতি এবং ২৬ ক্যাডার সমিতির দাবি বিবেচনায় নিয়ে নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
চলতি সপ্তাহের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নতুন বেতন কাঠামোর খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষার (ভেটিং) জন্য পাঠানো হবে। ভেটিং শেষে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত আসবে। এরপর তা পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর নুতন পে স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার।
গত রবিবার সচিবালয়ে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
. . . . . . . . .