যথেষ্ট তথ্য আছে, ভিডিও দেখে দোষীদের ধরা যাবে
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০১৫, ১০:০৬ অপরাহ্ণরাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে ঐতিহ্যবাহী হোসনি দালানের পাশে আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি ঢামেক হাসপাতালে যান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম।
এসময় এত বড় হামলায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের গোয়েন্দারাও যথেষ্ট তৎপর আছেন, আশা করছি শিগগিরই এর দোষীদের খুঁজে বের করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় এ পর্যন্ত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তথ্য পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এসময় তিনি বলেন, ‘একটা সংঘবদ্ধচক্র দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী না।’
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় নিহতের নাম সাজ্জাদ হোসেন সানজু। শতাধিক আহতের মধ্যে ৭০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং ৩২ জনকে মিটফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে ঢাকা মেডিকেলে আসা ৭০ জনের মধ্যে নয় জনকে ভর্তি করানো হয়েছে আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে। মূলত তারা স্প্লিন্টারে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
জানা গেছে, তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ এখানে জড়ো হয়েছিলেন। হঠাৎ করে পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বহু মানুষ রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ঘটনার সময় উপস্থিত লোকজন জানান, তারা যখন দুলদুল ঘোড়ার পা ধুইয়ে দিচ্ছিলেন তখন হঠাৎ করে একটি টিউবলাইট ভেঙে পড়ে। এরপরই চার থেকে পাঁচটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব, সোয়াত ও গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন আছে। তারা আলামত সংগ্রহ করছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎই এ ধরনের ঘটনা। আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এর ধিক্কার জানাই।’
হামলার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘এটা জঙ্গি হামলা কি না বলা যাবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এটা একটা পরিকল্পিত হামলা।’
. . . . . . . . .