এক যুগেও শেষ হয়নি সিলেটের ন্যাচারাল পার্ক’র কাজ
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০১৫, ২:৩৩ অপরাহ্ণএক যুগেও শেষ হলো না সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকায় ন্যাচারাল পার্কের নির্মাণকাজ। অন্য সব কাজ শেষ হলেও শুধু রাইড বা বিনোদনের উপকরণ স্থাপনের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে পার্কটি।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, সিলেট নগরে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের উপযোগী ভালো মানের কোনো উদ্যান বা পার্ক নেই। এ অবস্থায় পার্কটির নির্মাণকাজ দীর্ঘদিনেও শেষ না হওয়াটা হতাশার।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, রাইডসহ শিশু-কিশোরদের বিনোদনের উপযোগী হিসেবে পার্কটি নির্মাণ করতে সাত কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রুত পার্কটির কাজ শেষ করা হবে।
জানা যায়, ২০০৪ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের উদ্যোগে প্রায় চার একর জমির ওপর পার্কটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর মাটি ভরাট, বেষ্টনী তৈরি, অফিস কক্ষ নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সংযোগও দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পার্কটি সম্পূর্ণরূপে নির্মাণের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু তখন নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় সেই টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত যায় বলে জানান সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকায় পার্কের ভেতরে আগাছা ও ঘাস জন্মেছে। নির্মিত অফিস কক্ষের ভেতরে ময়লা-আবর্জনা। দেয়ালে শেওলা জমেছে সেখানে। অযত্ন-অবহেলায় বৈদ্যুতিক সংযোগের অবস্থা বেহাল। প্রধান ফটকের কিছু অংশের লোহা কে বা কারা ভেঙে নিয়ে গেছে। সেখানে বাঁশ দিয়ে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। পার্কের ভেতরে-বাইরের রাস্তাগুলো ফেটে দুই ভাগ হয়ে গেছে।
আলমপুর এলাকার বাসিন্দা কলেজশিক্ষক ইয়াকুব মিয়া বলেন, ‘পার্কটি পরিত্যক্তভাবে পড়ে আছে। মানুষজন খুব একটা এদিকে যায় না। এখন এটিকে ভুতুড়ে বাড়ির মতো মনে হয়।’
দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত থাকার পর পার্কটি দেখভালের জন্য ২০১৩ সালের শুরুর দিকে মাস্টাররোলে একজন নৈশপ্রহরী কাম তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁকে মাসে চার হাজার টাকা বেতন দিতে হচ্ছে। এর বাইরে ২০১২ সাল থেকে পার্কের বিদ্যুৎ বিল বাবদ মাসে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে আট হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। পার্কটি চালু না থাকলেও এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলই গুনতে হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখার দুজন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
. . . . . . . . .