রাজন হত্যা : কামরুলকে আনতে সৌদিতে পুলিশ, সাক্ষ্য দিলেন আরও চারজন
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ অক্টোবর ২০১৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণসিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে ফেরত আনতে পুলিশের উধ্বতন তিন কর্মকর্তা সৌদি আরবে পৌছেছেন। সোমবার ভোরে তিন পুলিশ কর্মকর্তা সৌদি আররে পা রাখেন । এদিকে রাজন হত্যায় আরও চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে নতুন এই চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় বলে জানান আদালতের পিপি মফুর আলী। সাক্ষ্য দিয়েছেন গিয়াস মিয়া,আফতাব মিয়া,আব্দুল করিম ও কোরবান আলী। এর আগে রাজনের বাবা ও মাসহ ১৭ জন সাক্ষ্য দেন।
আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবরও সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মফুর আলী। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৩৮ জনের জাবানবন্দি শুনবে আদালত। গ্রেপ্তার ১০ আসামি সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতে হাজির ছিলেন বলে মফুর আলী জানান।
আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদ; পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আজমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী। এদের মধ্যে পলাতক কামরুল, শামীম ও পাভেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় করা নির্যাতনের ভিডিও হত্যাকারীরাই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে সারাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে গত ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার। গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ইউটিউব ভিডিও থেকে নেওয়া ছবিতে রাজনের ওপর নির্যাতনের দৃশ্য। ছবিতে নির্যাতনকারী ব্যক্তিটি কামরুল ইসলাম, যিনি সৌদি আরবে পালিয়ে যান
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া মুহিত আলম, ময়না চৌকিদার, শামীম আহমেদ ও তাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় লাশ গুম চেষ্টায় পৃথক অভিযোগ গঠন করা হয়।
রাজন হত্যার পরদিনই কামরুল সৌদি আরবে পালিয়ে যান। পরে সেখানে তিনি ধরা পড়েন। বর্তমানে সেখানে তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।
কামরুলকে পালাতে পুলিশের সহযোগিতার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ ওঠে রাজনের বাবাকে হয়রানিরও। অভিযোগ তদন্ত করে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখান্ত করা হয়। প্রত্যাহার করা হয় জালালাবাদ থানার ওসিকে।
হত্যাকাণ্ডের পর মুহিত আলমের স্ত্রী লিপি বেগম ও শ্যালক ইসমাইল হোসেন আবলুছকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। . . . . . . . . .