কোম্পানীগঞ্জের জহিরুল খুন : আদালতে ঘাতক আশিকের স্বীকারোক্তি

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০১৫, ৭:০৯ পূর্বাহ্ণস্টাফ রিপোর্টার::
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক জহিরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় সিলেটের আদালতে দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে মো. আশিক মিয়া। জবানবন্দিকালে সে খুনের ঘটনা স্বীকার করে।
গতকাল সোমবার বিকেলে পৌনে ৫ টা থেকে সাড়ে ৫টায় পর্যন্ত ৪৫ মিনিট সময়ধরে সিলেটে হাকিম আদালতের বিচারক নাজমুল ইসলাম এ জবানবন্দি গ্রহন করেন। এর আগে গত রোববার খুনের মুলহোতা আশিককে নগরের আখালিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেখিয়ে দেয়া তথ্য মতে রোববার বিকেলে হবিগঞ্জে বিক্রি করে দেওয়া ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করেন পিবিআই।
এর মধ্য দিয়ে হত্যাকান্ডের এক বছরের মাথায় আলোচিত এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলো সিলেটে নতুন করে যাত্রা শুরু করা পুলিশের এই স্বততন্ত্র তদন্ত সংস্থাটি। আর আশিকসহ এ নিয়ে দুই জন আলোচিত খুনের মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। আশিকের আগে গ্রেপ্তারকৃত তাজিদ এ ঘটনায় স্বীকারোক্তি দেয়।
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, সিএনজি চালক জহিরুল ইসলাম খুনের মিশনে অংশ নিয়েছিল ৯ জন। সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাই করতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের ৯ জনের দল সিলেটে আরও সিএনজি ছিনতাই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে ধারনা করা হচ্ছে। তবে, এখনও তারা এ ব্যাপারে মুখ খুলেনি।
২০১৪ সালের ৩১ আগষ্ট সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের অটোরিকশা চালক জহিরুল ইসলামকে খুন করে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। খুনের ঘটনার পর দিন সন্ধ্যায় খুনিরা কোম্পানীগঞ্জ-ছাতক সড়কের ধলাবিল নামক স্থানে লাশ পানিতে ফেলে দেয়। এরপর তারা অটোরিকশা নিয়ে সিলেট নগরীতে চলে আসে।
এ ঘটনায় জহিরুলের ভাই জিয়াউল ইসরাম বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শংকর নন্দি মজুমদার এজাহার নামীয় ৭ জনসহ মোট ৯ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদিপক্ষ নারাজি দিলে মামলাটি পুন:তদন্তের জন্য পিবিআই’র কাছে পাঠানো হয়।
পরে পিবিআই কর্মকর্তারা এ ঘটনায় তাজিদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেন। সে আদালতে জবানবন্দি দেয়। গত রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিবিআই’র ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলামসহ পুলিশ দল নগরীর আখালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন খুনের ঘটনার মুল হোতা আশিককে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম জানান, আশিক আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেছে। খুনের ঘটনার পর ছিনতাই হওয়া গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়িটি হবিগঞ্জ থানায় রয়েছে। তিনি বলেন, হবিগঞ্জের যে গ্যারেজ থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে এর মালিক খালেকুজ্জামানকে আটক করা হয় রোববার। গতকাল সোমবার সিলেটের আমল গ্রহণকারী আদালতে সোর্পদ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
. . . . . . . . .