বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:৫০ অপরাহ্ণবাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১৬ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন লোকগানের এই কিংবদন্তি শিল্পী।
১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের ভাটি অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দারিদ্র্যের সঙ্গে আজন্ম যুদ্ধ ছিল তার। কৃষি কাজের পাশাপাশি রচনা করেন কালজয়ী সব লোকগান। সমাজের নানা কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সুরে সুরেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন আজীবন।
শাহ আবদুল করিম জীবনভর তার গানে অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির কথা বলে গেছেন। তার গানে যেমন প্রেম-বিরহ ছিল, তেমনি ছিল খেটে খাওয়া মানুষের কথা। একই সঙ্গে আধ্যাত্মিক ভাবনাও রয়েছে তার সৃষ্টিকর্মের বিশাল অংশজুড়ে। অভাব-অনটন, দুঃখ-দারিদ্র্যে বেড়ে ওঠা বাউল করিমের বয়স যখন ১২, তখন রাখালের কাজ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ধলবাজারের এক মুদি দোকানে কাজ নেন। দিনে চাকরি আর রাতে হাওড়-বাঁওড় ঘুরে গান গাইতেন। ওই সময় গ্রামের নৈশবিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পড়াশোনা হয়নি তার। গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাউল, ভাটিয়ালি ও পালাগান করতেন তিনি।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, বন্দে মায়া লাগাইছে, রঙের দুনিয়া চাই না, কৃষ্ণ আইল রাধার কুঞ্জে, গান গাই আমার মনরে বুঝাই, বসন্ত বাতাসেসহ অজস কালজয়ী গানের স ষ্টা শাহ আব্দুল করিম। বাংলা সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদান রাখায় পেয়েছেন একুশে পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, জাতিসংঘের সম্মাননা, লেবাক অ্যাওয়ার্ডসহ নানা সম্মাননা।
কিংবদন্তি এই শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, সিরনি বিতরণ, আলোচনা সভা ও সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শাহ্ আব্দুল করিমের ছেলে শাহ নূর জালাল জানান, ‘বাড়ির চারদিকে পানি থাকায় বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। দিনে মিলাদ মাহফিল ও সিরনি বিতরণ করা হবে। রাতে বাউল গানের আসর হবে, এতে বাবার গান পরিবেশন করবেন বাউলরা।’
সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল জানান, ‘বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের মৃতুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাউল সমিতির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ও সংগীত পরিবেশন করবেন।’
সিলেট সংবাদ/আবির