শাবিতে যুক্ত হয়েছে সীমানা প্রাচীরের দুই প্রান্ত :তিন দশক পর উদ্ধার হলো জমি

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ৮:১৪ অপরাহ্ণস্টাফ রিপোর্ট:
অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীরের দুই প্রান্ত বৃহস্পতিবার সংযুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ করা সকলের দাবি ছিল। সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ হওয়ার আগে অনেক চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল। তবে আশা করি, এ সীমানা প্রাচীরের মাধ্যমে এ ধরণের অপরাধ অনেকটাই কমে যাবে।
উপাচার্য আরো বলেন, এ কাজ শেষ করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। সকলের সহযোগিতায় আমরা এ কাজ প্রায় শেষ করতে পেরেছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রসঙ্গত: অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনের পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু হয়। তবে এর আগে শিক্ষার্থীরা হামলার প্রতিবাদে বলছিলেন, সীমানাপ্রাচীর কোনো সমাধান নয় ?
জানাযায়, গত ২৮ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় সীমানাপ্রাচীর ছাড়াই চলছিলো। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন যেহেতেু বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষদের যাতায়াতের অন্যতম একটা মাধ্যম এই বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য সীমানা প্রাচীরে বিষয়টি ভেবে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠার ২৮ বছরেও সীমানা প্রাচীরে বেষ্টিত হয়নি দেশের সর্ব প্রথম এ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অরক্ষিত ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক অঘটন ঘটলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব, সংগঠনের কার্যালয়ে চুরি ও রাস্তাঘাটে ছিনতাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে উঠছে।
ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধাধরা কোনো নিয়ম না থাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে সহজেই পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এমনকি গত কয়েক বছর থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং ছাত্রী হলের সামনে থেকে ব্যাগ ছিনতাইর ঘটনা ঘটছে।
সুত্রজানায় সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয় প্রচুর টাকা।
এদিকে জানাযায়, আজ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত ও বহুল আলোচিত প্রায় ৬ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীরের সম্পূর্ণ অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
. . . . . . . . .