সিলেটসহ সারাদেশেস্কুলে ভর্তি আবেদন কম সময়ের মাঝে শেষ করতে হবে

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ৫:৫৫ অপরাহ্ণসিলেটের কণ্ঠ ডেস্ক :
সিলেটসহ সারাদেশের সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর। ১২ দিন সময় দিয়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন নেয়া হবে। ২৯ বা ৩০ ডিসেম্বর হবে লটারি। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে ভর্তি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার আবেদনের ফি ৫৫ টাকা কমছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো খসড়া নীতিমালায় এ প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়েছে। অনুমোদন হলে আজ বা রোববার বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, রাজধানীর ৪৪টি হাইস্কুলে সফটওয়ারে লটারির সুযোগ থাকলেও দেশের বাকি হাইস্কুলগুলোতে স্থানীয়ভাবে স্থানীয়ভাবে লটারির তারিখ নির্ধারণের সুযোগ থাকছে। দেশে সাড়ে ৩ শতাধিক সরকারি হাইস্কুল রয়েছে।
জেলা স্কুলের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেবে।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুরক্ষা বিবেচনায় আবেদন প্রক্রিয়াসহ ভর্তি পর্যন্ত সার্বিক কার্যক্রমে কিছু নতুনত্ব আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন (মাধ্যমিক-২) । এ নিয়ে বিস্তারিত প্রস্তাব মাউশি থেকে পাওয়া গেছে। প্রস্তাব যাচাই শেষে অনুমোদন করা হবে।
সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য বছরের মতোই টেলিটকের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া হবে। ঢাকা মহানগরের ৪৪টি এবং ঢাকার বাইরের সাড়ে তিনশ’ হাইস্কুলের আবেদন একসঙ্গে নেয়া হবে। করোনা ঝুঁকির কথা বিবেচনায় সরাসরি লটারি না করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর পরিবর্তে সফটওয়্যারের মাধ্যমে লটারির প্রস্তাব করা হয়েছে।
মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, এবার পরীক্ষা হচ্ছে না। এ কারণে পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যয় নেই। আবার লটারির কারণে কিছু ব্যয় বাড়বে। উভয় দিক বিবেচনায় আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মাসের মধ্যে শিক্ষার্থী নির্বাচন শেষ করা হবে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ২৫ নভেম্বর জানান, স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানোর জন্য প্রতি শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে। কিন্তু বাধ্য হয়েই যোগ্যতার চাইতে ভাগ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছি আমরা। অন্যান্য বছর প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে এবং নবম শ্রেণিতে জেএসসি-জেডিসির ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। লটারিতে ভর্তির এ সিদ্ধান্তে সর্বোপরি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রচলিত ব্যবস্থায় কেবল অ্যাকাডেমিক অর্থে সব মেধাবী শিক্ষার্থীরা গুটি কয়েক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীভূত হয়। ফলে বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একধরনের অসাম্য তৈরি হয়। কোনো দেশের গুণগত শিক্ষা অর্জনে এটা বড় বাধা। এই পদ্ধতিতে বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও সাম্য প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হব।
ফি মওকুফ : আগামী শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি। সরকারি স্কুলগুলোর ফি-র আওতা এক হাজার টাকার কম। আর বেসরকারি স্কুলগুলো সেশন চার্জসহ অন্তত সাত ধরনের ফি নিতে পারবে না। এসব ফি না নিতে এরইমধ্যে স্কুলগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
. . . . . . . . .