অবশেষে সিলেটের শিক্ষার্থীরা কম খরচে ভেন্টিলেটর তৈরি করলো
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২০, ৭:৫৩ অপরাহ্ণনিউজ ডেস্ক:
অবশেষে সিলেটের শিক্ষার্থীরা কম খরচে ভেন্টিলেটর তৈরি করলো। বিশেষ করে করোনা রোগীদের কথা চিন্তা করে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক লাখ টাকারও কম খরচে ভেন্টিলেটর তৈরি করেছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির চার শিক্ষার্থী। তাদের টিমের নাম ‘ক্রাক্স’।
তারা হলেন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল, মারুফ হোসেন রাহাত, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্টনিক বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান সোহাগ, কম্পিউটার
সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি শাফি।
‘ক্রাক্স’-এর টিম লিডার রেজওয়ানুল হক নাবিল। তিনি বলেন, ভেন্টিলেটরটির শব্দ কম হওয়ায় রোগীদের কোনো অসুবিধা হবে না। এটিতে একটি অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ভেন্টিলেটরকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং বিভিন্ন প্যারামিটার দেখা যায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে মেডিকেল ভেন্টিলেটরটি তৈরি করেছি সেটি টারবাইন বেইজড। এর ভেতরে একটি টারবাইন রয়েছে যা পজিটিভ প্রেসার তৈরি করে। এই ভেন্টিলেটরের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। আমরা যতটুকু করেছি তা ওপেন সোর্স করে দিয়েছি। ফলে যে কেউ এর প্রযুক্তি দেখতে পারবে এবং এটি নিয়ে কাজ করতে পারবে।
নাবিল বলেন, এ ভেন্টিলেটরের শব্দও যেকোনো ভেন্টিলেটরের চেয়ে কম এবং পাওয়ার এফিশিয়েন্ট। কারেন্ট চলে গেলেও এর ভেতরের ব্যাটারি পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যাকআপ দেবে। এটি পোর্টেবল ভেন্টিলেটর হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাবহার করা যাবে। এর স্ক্রিন ফোল্ড করা যায়, ফলে পরিবহন করা সহজ।
সরকারি সহায়তা পেলে অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ভেন্টিলেটর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বিপণন করা সম্ভব বলে জানান নাবিল।
ক্রাক্স-এর লিডার নাবিল বলেন, এগুলো বানাতে অনেক টাকা লাগে। আমরা চিন্তা করলাম একটা রিসার্চ প্রজেক্ট করি- যার উদ্দেশ্য একটি ওপেন সোর্স ভেন্টিলেটর বানানো। যা দেখে দেশ এবং বিদেশের ইঞ্জিনিয়াররা এটিকে আরো অত্যাধুনিক ও সহজলভ্য করতে পারবেন। এরপরই আমরা কাজে লেগে পড়ি। সীমিত সময় এবং বাজেটে একটা বেসিক পর্যন্ত আমরা ঠিকমতো কাজটি করতে পেরেছি। যা কোনো স্টার্টআপ কোম্পানি আগে বাংলাদেশে করেনি। এরকম একটা প্রজেক্ট করতে ৫০ লাখ টাকার বেশি বাজেট লাগে। আমরা এক লাখ টাকার কমে কাজটা করেছি।
নাবিল বলেন, বাংলাদেশি স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর মধ্যে এটাই প্রথম ভেন্টিলেটির, যা টারবাইন বেইজড এবং ওপেন সোর্স। দেশব্যাপী ব্যবহারের জন্য বড় বাজেট প্রয়োজন। এটিকে আরো ডেভেলপ করতে হবে। এরপর টেস্ট করে দেশব্যাপী হাসপাতালগুলোতে ব্যবহার করা যাবে। এ প্রজেক্ট সফল হলে বিদেশি ভেন্টিলেটরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। আমাদের দেশের কোটি কোটি টাকা বাঁচবে।
. . . . . . . . .