নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শুটার রিয়াজকে’ রূপগঞ্জ থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তর

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:২৪ অপরাহ্ণসিলেটের গোয়াইনঘাটে জনতার হাতে আটক হওয়া নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শুটার রিয়াজকে’ রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম গোয়াইনঘাট থানা থেকে তাকে নিজেদের জিম্মায় নেয়। পরে সকাল ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে তারা রওনা দিয়েছেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটক রিয়াজের বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মামলার তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তার হেফাজতে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আটক রিয়াজের সঙ্গে থাকা তার দুই শিশু সন্তানকে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার আড়াইটার দিকে শিশু অপহরণকারী সনেদহে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন নারায়ণগঞ্জের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজ বাহিনীর প্রধান রিয়াজুল ইসলাম ওরফে ‘শুটার রিয়াজ’।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাটে সন্ত্রাসী রিয়াজুল ইসলামের অবস্থানের খবর পেয়ে তাঁকে সন্ধান করছিল র্যাব। ওই সময় একটি গাড়িতে করে রিয়াজুল তাঁর দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে গোয়াইনঘাটের আলীরগ্রামের দিকে যান। তাঁর পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে বুঝতে পেরে তিনি আলীরগ্রামের একটি বাড়ির বারান্দায় দুই শিশুকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই শিশুকে রেখে পালানোর ঘটনায় গ্রামবাসীর সন্দেহ হলে তাঁকে ধাওয়া করে আটক করেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিয়াজুল ও দুই শিশুকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। এ সময় রিয়াজুলের ব্যবহৃত গাড়িটিও জব্দ করা হয়। পরে রিয়াজুলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়। জানা যায়, তিনিই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শুটার রিয়াজ।
২০২২ সালের ৬ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে চার সহযোগীসহ ‘শুটার’ রিয়াজকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। তখন র্যাব জানিয়েছিল, রিয়াজুল হত্যাসহ ১৫ মামলার আসামি। তিনি অন্তত ১৫টি সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও আশপাশের এলাকায় রিয়াজুলের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। তাঁদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে আছে জমি দখল, অবৈধ বালু ভরাট, মাটি কাটার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা।
সিলেট/আবির