ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি জেলেনস্কির

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণরাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন।
ইউক্রেনের বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি ডিটিইকে জানিয়েছে, রাতে ওডেসা অঞ্চলের চারটি বিদ্যুৎ স্থাপনায় ড্রোন হামলা হয়। ওডেসা শহরের বাইরে চর্নোমোর্স্ক বন্দর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে বাড়িঘর ও প্রশাসনিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় গভর্নর ওলেহ কিপার জানান, কেবল ওডেসা অঞ্চলেই প্রায় ২৯ হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ এলাকায়ও ড্রোন হামলা হয়েছে, যেখানে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়েছে। নিঝিন শহরের একাংশও বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ভিয়াচেসলাভ চাউস।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার গভীরে আরও হামলার নির্দেশ দিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
জেলেনস্কি এক্সে বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য যেভাবে প্রয়োজন, ঠিক সেভাবেই আমরা আমাদের সক্রিয় অভিযান চালিয়ে যাব। বাহিনী এবং সম্পদ প্রস্তুত রয়েছে। নতুন গভীর হামলারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের জন্য যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে বহুজাতিক সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা ও সহায়তা নিয়েই এই সেনা মোতায়েন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে আমেরিকার উপস্থিতিও এ পরিকল্পনার অংশ থাকবে। এটি বারবার স্পষ্টভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য এই মোতায়েনে ইউরোপ নেতৃত্বাধীন কয়েক হাজার সেনা অংশ নেবে, যাদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড সিস্টেমসহ গোয়েন্দা নজরদারি সুবিধা দেবে। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এই বিষয়ে সমঝোতা হয়।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রবিবার চীনে এক সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বুধবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এখন রাশিয়া-চীন সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞ লিম মন্তব্য করেন, যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হবে, রাশিয়ার তত বেশি চীনের সহায়তা লাগবে, সেটি অর্থনৈতিক হোক বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে।