আ. লীগ নেতাদের ডিম নিক্ষেপ, ছাত্রদলের নেতাকর্মী আটক

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০:১৮ পূর্বাহ্ণচাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ মামলায়জামিন নিতে এসে আওয়ামী লীগের তিন নেতা-কর্মীর ওপর ডিম নিক্ষেপ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় আদালত চত্বরে মব সৃষ্টির চেষ্টাকালে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সেতাউর রহমানসহ ৫ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এর আধাঘন্টা পর তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, ছাত্রলীগের পৌর সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর অস্ত্রধারী বডিগার্ড আবুল কালাম আজাদ জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই তিন আসামি হাইকোর্ট থেকে গত ৭ জুলাই আট সপ্তাহের জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তাদের ৩ জনের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে তাদের জেলহাজতে নেওয়ার সময় আদালত চত্বরে বাদীর ভাই ও জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেতাউর রহমানসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আসামিদের পুলিশভ্যানে ডিম ছুঁড়ে মারেন এবং স্লোগান দেন। এ সময় আদালত চত্বরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে তারা পুলিশের উপরও চড়াও হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সেতাউরসহ ৫ জনকে আটক করে টেনে-হিঁচড়ে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যায়। ঘটনার আধা ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পুলিশ তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি মতিউর রহমান দাবি করেন, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মব তৈরির চেষ্টা করলে পুলিশ সেতাউরসহ আরও ৪ জনকে সাময়িক হেফাজতে নেয়। মূলত পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্যই তাদের আদালতের হাজতখানায় হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে তাদের গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। পরে তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম সেন্টু জানান, ২০১৬ সালে শিবগঞ্জ উপজেলার পারদিলালপুর গ্রামের যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মিজানুর রহমান ও রেজাউল করিম আওয়ামীলীগ প্রশাসনের সহায়তায় গুম হন। তারা সর্ম্পকে দুই ভাই। এ ঘটনার ৮ বছর পর অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ এনে বাবা আইনাল হক শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিসহ পুলিশের ৫ জনকে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।