থাইল্যান্ডের সঙ্গে কম্বোডিয়ার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।
এদিন উভয় দেশ ভারী কামান ও রকেট হামলা চালাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সহিংসতার ফলে সীমান্তের উভয়পাশে বসবাসকারী ১ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতানতুন জানান, সাতজন বেসামরিক নাগরিকসহ আরো ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে আরো ৭০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে শিশুসহ আরো ১৩ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে থাইল্যান্ড। গত দুই দিনের সংঘাতে দেশটির ৬ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে প্রায় ৬০ জন মানুষ আহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বলেন, সংঘাতের পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে যা সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।
অন্যদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আসিয়ানের চেয়ারপার্সন আনোয়ার ইব্রাহিমের উত্থাপিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট।
থাইল্যান্ড প্রাথমিকভাবে সম্মত হলেও পরে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে উল্লেখ করে একে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমান এই সংঘাত বন্ধের মূল চাবিকাঠি হলো থাই পক্ষের এই যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়া।