*ইনসাফ ভিত্তিক একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়েছে*

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুলাই ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণসিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে জুলাই মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন
জুলাই মঞ্চ সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ, বিচারবহির্ভুত হত্যা চাদাবাজ বিরোধী ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। বিগত একটি বছর আমরা সারা বাংলাদেশে দেখেছি গুম খুন চাঁদাবাজি হত্যা রাহাজানি এমন অসংখ্য অন্যায় অপকর্ম। যার প্রতিবাদে বাংলার মানুষ রাস্তায় নেমে গণ আন্দোলনের মুখে দেশছাড়া করেছে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারকে। ফ্যাসিবাদ পরবর্তী বাংলাদেশ হওয়ার কথা ছিল বৈষম্য মুক্ত চাঁদাবাজ মুক্ত হত্যাকাণ্ড মুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ। কিন্তু অভ্যুত্থানের দশ মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা বাংলাদেশে প্রতিটি জেলায় প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি বাজারে এখনো বহাল রয়েছে এই পূর্বের ন্যায় জুলুম অন্যায় অবিচার চাদাবাজি। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর নির্যাতন নিপীড়ন এমনকি বর্বরোচিত হত্যাকান্ডও দেখতে হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় অনলাইন প্রেসক্লাবের ড. রাগীব আলী মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জুলাই মঞ্চ সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক জোবায়ের আহমদ তোফায়েল।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিলেও তারা সফল হতে পারছেনা। বিপ্লবের পক্ষের বড়শক্তি গুলোর অন্যতম দলের নেতা কর্মীদের দেশব্যাপী চাঁদাবাজিতে জনজীবন ও ব্যবসায়ীদের ব্যবসা কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কেউ চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে নির্যাতনের পাশাপাশি হত্যাকান্ডের শিকার হতে হচ্ছে। যার অন্যতম উদাহরণ হিসেবে সামনে এসেছে পুরান ঢাকার ভাঙারী ব্যবসায়ী সোহাগ। চাদাবাজরা এতটাই ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে এবং মানবতা বিরোধী হয়ে উঠেছে যে চাদা না পেয়ে ব্যবসায়ী সোহাগকে প্রায় ৫ কেজি ওজনের পাথর দিয়ে বেশ কয়েকজন মিলে শরীরের প্রায় সব অংশে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। মৃত্যু নিশ্চিত হবার পর তার শরীরের উপর উঠে বুনো উল্লাস করেছে। যা আমাদের মধ্যযুগীয় বর্বরতা ও আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগকে স্বরণ করিয়ে দিয়েছে। ব্যবসায়ী সোহাগের উপর যে নির্মমতা হয়েছে তা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ক্ষত তৈরী করেছে।
তারা বলেন, জুলাই মঞ্চ স্পস্ট ভাষায় জানাচ্ছে যে, নতুন বাংলাদেশে হত্যাকারী ও চাদাবাজদের কোন জায়গা হবেনা। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে হত্যাকারী ও চাদাবাজদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ করে জুলাই মঞ্চ সারা বাংলাদেশে চাদাবাজদের অস্তিত্ব বিলীন করতে বদ্ধ পরিকর। পাশাপাশি চাদাবাজ ও মানুষ হত্যাকারীদের যারা আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেবে তাদের আস্তানা গুড়িয়ে দিতে সম্মিলিত ভাবে কাজ করবে জুলাই মঞ্চ।
একটি নিরাপদ বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন জনগণ দেখেছে সেই স্বপ্ন নস্যাতে যারা ভূমিকা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে জুলাই মঞ্চের সংগ্রাম চালু আছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। পাপাশাশি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের উপযুক্ত বিচার জুলাই মঞ্চ দেখতে চায়। একই সাথে বিগত ১১ মাসে বাংলাদেশে দেশে চাদাবাজি, ধর্ষণ ও চাদা না পেয়ে হত্যাকান্ডের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিটির বিচার যেন অনতি বিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করে সেই দাবী জানাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জুলাই মঞ্চ সিলেট জেলা শাখার মুখপাত্র রুহুল আমিন জগলু, সুনামগঞ্জ জেলার মুখপাত্র উবায়দুল হক রাহাত, সিলেট জেলার মুখ্য সমন্বয়ক হারুন আর রশীদ, মূখ্য সংগঠক সাহেদ আহমদ ছামী, দপ্তর সম্পাদক আলী আহমেদ তাজ, তথ্যচিত্র ধারণ প্রতিনিধি শামসুজ্জামান মাহবুব, অর্থ সম্পাদক আহমেদ লায়েক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নাহাদুল করীম চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ওলী আহমদ, ফ্যাসিবাদী আমলা চিহ্নত করন সমন্বয়ক ইয়াসিন আলী জয়, কার্যকরী সদস্য নোমান আহমেদ ও তারমিম আহমেদ প্রমূখ।
সিলেটসংবাদ/হা