ডিসিদের কাছে জনগণের ৩ প্রত্যাশা

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:২৬ অপরাহ্ণমঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ
দেশের জনগণ জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে নিরাপত্তা, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে জিনিসপত্র ক্রয় ও হয়রানি ছাড়া সরকারি সেবা পাওয়া প্রত্যাশা করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ।তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রথম অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজ বলেন, “জেলা প্রশাসকরা মাঠ পর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। তাদের কাছে জনগণের চাহিদা মূলত তিনটি। এসব প্রত্যাশা আকাশচুম্বী না- যা পূরণ করা যাবে না। তারা নিরাপত্তা চায়, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চায়। চলাফেরা করতে চায়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে জিনিসপত্র কিনতে চায় এবং তৃতীয়টি হচ্ছে, কোনো ধরনের হয়রানি-ঝামেলা ছাড়াই সরকারি সেবাগুলো পেতে চায়।”এগুলোকে সামনে রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী সব ধরনের সহায়তা করবে বেসামরিক বাহিনীকে।
দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ফেরাতে যতদিন প্রয়োজন হয় ততদিন পর্যন্ত বেসামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এক হয়ে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
লুট হওয়া সব অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছিল। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ ভাগ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনো উদ্ধার হয়নি ১৪০০ অস্ত্র। গুলি লুট হয়েছিল প্রায় ৬ লাখ, এখনো উদ্ধার হয়নি আড়াই লাখ। এসব অস্ত্র ও গুলি সন্ত্রাসীদের হাতে গিয়ে যাতে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পায়তারা করছে। জেলা প্রশাসকদের সতর্ক নজরদারির মাধ্যমে এদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
জাতীয়/আবির