যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দিনে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫:৫৮ অপরাহ্ণমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণের পর থেকে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ জানিয়েছে, গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ৭ হাজার ৪১২ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন অভিবাসন ও কাস্টমস বিষয়ক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।
আইসিই’র কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার জনকে বন্দীশালায় রাখা হয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, শিগগিরই তাদের নিজ নিজ দেশ কিংবা কিউবার গুয়ানতানামো বে কারাগারে পাঠানো হবে।
আইসিই’র তথ্য অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি, ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের শিকাগো এবং ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই নথিবিহীন অভিবাসীদের। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতা, বন্দুক ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
আইসিই’র অনেক অভিযান অন্যান্য ফেডারেল সংস্থা যেমন ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (ডিইএ); অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যুরো (এটিএফ) এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে।
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, ৭,৪১২ জনের মধ্যে বেশিরভাগেরই অপরাধমূলক কাজের বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারের ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটেছে, যখন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ নিশ্চিত করেছেন যে, ‘সবচেয়ে খারাপ’ অপরাধী অভিবাসীদের গুয়ানতানামো বে কারাগারে আটক রাখা হবে। গত শুক্রবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
তার আগে, গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণা বলেন, তিনি ৩০ হাজার ‘অপরাধী অবৈধ অভিবাসী’ আটক রাখার জন্য গুয়ানতানামো বে কারাগার সম্প্রসারণের জন্য পেন্টাগনকে নির্দেশ দেবেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আমি প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে গুয়ানতানামো বে কারাগারে ৩০ হাজার অভিবাসী আটক রাখার মতো নতুন স্থাপনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছি। বেশিরভাগ মানুষই এটা সম্পর্কে জানেন না।”
পরে জানা যায়, ট্রাম্প এই বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশ নয়, বরং প্রেসিডেন্টের একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন।
তবে তার আগে, ‘আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণকে সুরক্ষা প্রদান’ নামের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এরপর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
আন্তর্জাতিক/আবির