সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
পরিবহনশ্রিমিকদের কর্মবিরতির কারণে টানা দুদন ধরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
দুর্ঘটনায় এক কিশোর নিহতের জেরে একাধিক বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোমবার থেকে এই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। মঙ্গলবারও এ সড়কে বাস চলে নি।
এদিকে, এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার থেকে পুরো সিলেটে কর্মবিরতির ডাক দেয় সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। সোমবার বিকেলে এ কর্মসূচী ঘোষণা দিলেও রাতে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে কেবল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চালচাল বন্ধ রেখেছেন। এতে সিলেট-জকিগঞ্জ ও সিলেট-বিয়ানীবাজারগামী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
সকালে সিলেটের কদমতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনাল থেকে কোন বাস জকিগঞ্জযি বিয়ানীবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। একইভাবে জকিগঞ্জ থেকেও সিলেটের উদ্দেশ্যে কোন বাস ছেড়ে আসেনি।
টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে অনেক যাত্রী সেখানে বসে আছেন বাসের অপেক্ষায়। বাস ছেড়ে যাবে না জানার পরও তারা অপেক্ষা করছেন ধর্মঘট প্রত্যাহারের।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে জকিগঞ্জের কামালগঞ্জ আব্দুল মতিন কমিউনিটি সেন্টারের নিকটে সড়কের পাশে শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিলো। হঠাৎ বল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে চলে গেলে সেটি আনতে আবির আহমদ (১৪) নামের এক কিশোর দৌঁড় দেন। এসময় দ্রুতগামী একটি গেটলক বাসের ধাক্কায় সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ- এটি ছাড়াও আরও অন্তত ৩টি বাস ভাঙচুর করা হয় এসময়। এর প্রতিবাদে সোমবার পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। মঙ্গলবারও সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন তারা।
জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত বলেন- আমাদের বাসের চালক অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে বাস ভাঙচুর করা ও পুড়ানো সন্ত্রাসী কাজ। আমরা এর বিচার চাই। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন।
সিলেট/আবির