ছাতকের জোড়াপানি,দোয়ারাবাজারের নরসিংপুর সড়কে ব্রিজের কাজে অনিয়ম বন্ধে মানববন্ধন
সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ):
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা জোড়াপানি -নরসিংপুর সড়কের সিঙ্গেরকাছ এলাকায় কালভার্ট ব্রিজ নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
ছাতক উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী সাব্বির আহমদের যোগসাজশে এমন অনিয়ম-দূর্নীতি হচ্ছে দাবি করে
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রিজ নির্মানের এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ছাতক ও দোয়ারাবাজার দুই উপজেলার মানুষজন।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ছাতক ও দোয়ারাবাজার দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা নোয়ারাই ইউপির জোড়াপানি- নরসিংপুর সড়কে সিঙ্গেরকাছ এলাকার ব্রিজ ভেঙে দুই উপজেলার মানুষের চলাচল কয়েকবছর বন্ধ ছিলো। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর নতুন ব্রিজের কাজ শুরু হলেও ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সাব্বির আহমদের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব কন্টাক্টার সাবেক পৌর কমিশনার সালেক আহমদ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে ব্রিজ নির্মানের কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা সরাসরি এই অনিয়মে জড়িত থাকায় এলাকাবাসী ব্রিজ নির্মানে অনিয়মের বিষয়টি একাধিকবার জানালেও এবিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য আয়াজুর রহমান বলাই,ছাতকের নোয়ারাই ইউপি সদস্য মছব্বির আলী,মতক্কিন খাঁন,তাজির মিয়া,নরসিংপুর সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আলী আকবর,
আজির মিয়া, তাজির মিয়া মহরি,আব্দুল করিম চন্দন,মস্তাব আলী,আছমান আলী,আব্দুনুর,আবিদ রনি,তোফায়েল খাঁন বিপন,জামাল উদ্দিন,জামাল উদ্দিন,ফখর উদ্দিন,খসরু মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, জোড়পানি -নরসিংপুর সড়কে সিঙ্গেরকাছ ব্রিজে নতুন রড ব্যবহারের পরিবর্তে পুরাতন রড, মিক্সার মেশিন ছাড়া ঢালাই কাজ, বেইজ ঢালাই না দিয়ে পুরাতন ব্রিজের বেইজের উপরে ব্রিজের কাজ, নির্ধারিত রড ব্যবহারের পরিবর্তে আড়াই সুতা রড দিয়ে ব্রিজ নির্মানের কাজ চলছে। এতে অল্প দিনেই ব্রিজ ধসে পড়ে যেতে পারে এমন শঙ্কা মুক্ত করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যবহার করে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান মানববন্ধনকারী জনতা।
এছাড়াও ব্রিজ ভেঙে ফেলায় মানুষের সাময়িক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য মাটি ভরাট করে বাঁধ দেওয়া হয়েছে , সেখানে যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না রাখায় সিএনজি,রিকশা,অ্যাম্বুলেন্স,এসব যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ছাতকের নোয়ারাই ইউপি ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।
অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে ছাতক উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা ( প্রকৌশলী) সাব্বির আহমদ জানান, স্টিমেট অনুযায়ী ব্রিজে প্রয়োজনীয় রড ব্যবহার করা হচ্ছে। বেইজ আমার নিজ হাতে দিয়েছি। তবুও আগামীকাল সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টিদ দেখব।
অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জের এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ছাতক উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা নিকট জানতে চেয়ে মিক্সার মেশিন ছাড়া ঢালাই কাজ করার সত্যতাs পাওয়া গেছে। পুরাতন রড,নিম্নমানের রড,বেইজ ঢালাই ছাড়া ব্রিজ নির্মানের বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাদেশসংবাদ/হা