লোডশেডিং বন্ধে দোয়ারাবাজার বিদ্যুৎ অফিসে আলোচনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়করা
সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ):
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৫৩ অপরাহ্ণলাগামহীন লোডশেডিং বন্ধে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আলোচনায় বসেছে দোয়ারাবাজারের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা।
মঙ্গলবার দোয়ারাবাজার পল্লী বিদ্যুৎতের জোনাল অফিসে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার একটি টিম পল্লী বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিং বন্ধ,অতিরিক্ত বিল বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া,নষ্ট মিটার পরিবর্তন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।
মঙ্গলবার সন্ধায় দোয়ারাবাজার বিদ্যুৎ অফিসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন দোয়ারাবাজার জোনাল অফিসের এজিএম জাহিদুল হাসান। প্রথমে ছাত্র জনতার বক্তব্য শুনে পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার উদ্দেশে লোডশেডিং ও বিদ্যুতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন এজিএম।
জাহিদুল হাসান জানান, প্রাকৃতিক কারনে বিদ্যুৎতের মিটার নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যাওয়া মিটারে অতিরিক্ত বিল আসছে,তাছাড়া বন্যা পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা থাকায় জুন-জুলাই মাসের রিডিং আনা সম্ভব হয়নি,তাই গ্রাহকদেরকে এভরেজ বিল ধরায় বেশি পরেছে। যাদের অতিরিক্ত বিল এসেছে তা সমাধান করে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহের ভিতরে অতিরিক্ত বিল আসা মিটার গুলোর সমাধান করা হবে। নষ্ট মিটার পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।
জাহিদুল হাসান আরও জানান, দোয়ারাবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেখানে বিদ্যুৎ পাচ্ছি ১০-১২ মেগাওয়াট। তাই লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।
প্রায় দুই মাস ধরে এই সমস্যা চলছে। বিদ্যুৎতের সরবরাহ বাড়ানো হলে লোডশেডিং ও কমে যাবে।
এছাড়া আগাছার কারনে অনেক সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জনবল সংকট থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া লাইন মেরামত করতে একটি সময় লাগে। তাই গ্রাহকরা বেশি ভোগান্তিতে পরেন।
এতে সমন্বয়কদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সোহেল মিয়া, আব্দুল বাছিত রেজন,আমির হুসেন,আক্তার হুসেন,মামুন আহমদ,রবিউল আলম।
এসময় পল্লী বিদ্যুৎ দোয়ারাবাজার জোনাল অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা,কর্মচারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশসংবাদ/হা