দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিভক্তিতে সুযোগ অন্য প্রার্থীর
সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ):
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণএকদিন পর ২৯ মে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চার নেতা প্রার্থী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। নির্বাচন ঘিরে দলটির নেতাকর্মীরা বিভক্ত হওয়ায় তারা কাকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। এ দ্বিধাবিভক্তি অন্য প্রার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চার নেতাসহ পাঁচ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তারা হলেন– উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা নুরুল আমিন,বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আশরাফী, দেওয়ান আশিদ রাজা চৌধুরী,বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল।
উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। নির্বাচনের পরও এ ভাঙন থেকে যাবে বলে সন্দেহ তাদের।
আওয়ামী লীগপন্থি সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী নির্বাচন করাই একজনের ভোট চার জনে ভাগ করে নিচ্ছে। এতে একক অবস্থান নড়বড় হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকার কারণে বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলাম জুয়েল নির্বাচনী মাঠ দখল করে নিয়েছেন। দিন যতই গড়াচ্ছে, ভোটাররা ততই তার পক্ষে রায় দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ভোটাররা মনে করেন, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও মাঠে তাদের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলেও দলের কিছু ভোটার ভোট দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগ নেতাদের ভোট না দিয়ে তাদের প্রার্থীকে ভোট দিলে তাদেরই অবস্থান ভালো হবে।
এদিকে আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন দলের একাধিক নেতা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দিন দিন ভোটের মাঠে ভোটারদের মন জয় করে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের বড় একটি অংশ মনে করছেন নুরুল আমিনই হবে মূল প্রতিদ্বন্ধী।
উপজেলার সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী মাঠে মূলত নুরুল আমিন, দেওয়ান তানভীর আশরাফী ও আরিফুল ইসলাম জুয়েল মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। তাদের মতে নুরুল আমিন ও আরিফুল ইসলাম জুয়েলের অবস্থান ভালো বলে মনে করেন তারা।
বিএনপির তৃণমূল ভোটাররা বলেন, বিএনপির নেতারা ভোট দিতে যাবেন না ভোটকেন্দ্রে। কিন্তু বিএনপির সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেন গোপনে। বিএনপির তৃণমূল ভোটাররা মনে করেন, যেসব প্রার্থী নির্বাচন করছেন, তারা বিএনপির কারও না কারও আত্মীয়। সে ক্ষেত্রে তাদের পক্ষে বিএনপির একাংশের ভোট পড়তে পারে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ তারেক জানান,যেহেতু দল কাউকে মনোয়ন দেয়নি সেহেতু দল থেকে কাউকে সমর্থন দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন,উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এটা স্থানীয় নির্বাচন, এখানে ভোটাররা যাকে ভালো ও যোগ্য মনে করবেন তাকেই ভোট দিবে। উপজেলাবাসী যেনো শান্তি ও সুশৃঙ্খল ভাবে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে দোয়ারাবাজারের ঐতিহ্য দরে রাখে এটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
সারাদেশসংবাদ/হা