ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারী ওয়ারেন্টভূক্ত প্রতারক হাসান বদরুল জেল হাজতে
![](https://sylheterkantho.net/img/icon.jpg)
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২৪, ৪:১৯ অপরাহ্ণজৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী কি তার খোঁজ পায় না ! না কি তারা তাকে খোঁজে না ? এমন প্রশ্ন কয়েক দিন থেকে স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে ছিল আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু । তবে অবশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারী ওয়ারেন্টভূক্ত প্রতারক হাসান বদরুল-কে জেল হাজতে আটক করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’র একে বারে হাতের নাগালের ভেতরে জৈন্তাপুর মডেল থানা এলাকার মাত্র ৬শত গজের মধ্যে অবস্থান করা আদালতের ওয়ারেন্টভূক্ত এই আসামী প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছিল, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়, অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছিল তারা তাকে খোঁজে পায় না।
তবে অবশেষ (১৪ মে-২০২৪ খ্রি:) মঙ্গলবার আদালত তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বলে জৈন্তাপুর মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার (সাব-ইন্সপেক্টর) শাহিদ মিয়া নিশ্চিত করেছেন।
জানাগেছে, সা, পি-১১৬/২৩, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর বিভিন্ন ধারায় দায়ের করা একটি মামলায় সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট ইস্যু জারি করে।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত সিলেটের বেঞ্চ সহকারি মোনজের আহমেদ স্বাক্ষরিত চলিত বছরের গত ১২ মার্চ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট কপি (অফিসার (ইনচার্জ) জৈন্তাপুর মডেল থানা-কে প্রেরণ করা হয়েছিল । গ্রেফতারী ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী নিজপাট সদরের মাহুতহাটি মহল্লার মৃত আব্দুর রব আজাদের পুত্র বদরুল ইসলাম (উরফে) হাসান মো: বদরুল ।
প্রথমে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট’র বিষয়’টি অস্বীকার করলেও পরে থানার সেকেন্ড অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর শাহিদ মিয়া স্বীকার করে জানান, চলিত এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে থানায় আসছিল গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট কপি তামিল করতে।
কৌশলে হাসান বদরুল গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট’র কপি সে আদালতে আটকিয়ে রেখেছিল। থানায় গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট আসার পরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করলেও তাকে খোঁজে পায় নাই।
আটক আসামীর বিরুদ্ধে অতীতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের সাথে প্রতারণ করার অভিযোগ রয়েছে। বিগত দুই বছর পূর্ব শ্রীপুর সীমান্ত বিজিবি’র হাতে গভীর রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে এই প্রতারক বদরুল ইসলাম-কে আটক করা হয়েছিল। এছাড়া বিগত কয়েক বছর পূর্বে বে-সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা’র সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নি শাহার নামে ফেসবুক আইডি খুলে মুন্নি শাহ পরিচয়ে বিভিন্ন বেকার যুবকদের সাথে প্রতারণা করে চাকুরী দেয়ার কথা বলে টাকা আদায় কাজে জড়িত ছিল। এক পর্যায়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)’র হাতে এই প্রতারক বদরুল গ্রেফতার হয়েছিল। প্রতারনার কথা (র্যাব)’র নিকট সে নিজেই স্বীকার করেছিল।
প্রতারক বদরুল মোটরসাইকেল প্রেস’র স্টিকার লাগিয়ে বিভিন্ন সময়ে জৈন্তাপুর সহ বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, সমাজের অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিগণ, প্রশাসন এবং অনেক পরিবারের ব্যক্তিগত বিষয়ে ফেসবুক লাইভে প্রচার করে ও তার নামে ব্যবহৃত একটি পেইজও প্রচার করে সামাজিক ভাবে হেয়পতিপন্ন করে লোকজন-কে ভয় দেখিয়ে আসছিল।
সিলেটসংবাদ/হা