দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাচন: বিভক্তিতে আ.লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি, বিএনপি-জামায়াত- জাপা নীরব
সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ):
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ণউপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিভক্তিতে প্রার্থীর ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে দোয়ারাবাজার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠেছেন। তবে মাঠে নিরব ভূমিকায় রয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও জাপা’র নেতারা।
আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানারে এলাকা ছেয়ে গেছে। তাঁরা খেলার মাঠ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিয়ে জনসংযোগ চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সিনিয়র নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সমর্থন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ সম্ভাব্য অনেক। তবে এখন পর্যন্ত স্থানীয় সংগঠন বা স্থানীয় সংসদ সদস্য কোনো প্রার্থীর ব্যাপারে প্রকাশ্যে সমর্থন দেননি।
এদিকে বিএনপির স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনে ঘোষণা দিলেও কৌশলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন আরেক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
তবে নির্বাচন নিয়ে জামায়াত ও জাতীয় পার্টি (জাপা’র) নেতাদের মধ্যে তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। প্রথম দিকে উপজেলায় বিএনপি- জামায়াতের নেতাদের সরব দেখা গেলেও কেন্দ্র থেকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত আসায় বর্তমানে তাঁরা নির্বাচনী তৎপরতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এ ছাড়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে সরব থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে জনমনে। কারণ, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় বিএনপি নেতারা ও এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
দোয়ারাবাাজর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আশরাফী চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের চারজন প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন।
তারা হলেন-সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যু্গ্ম-আহ্বায়ক
কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল আমিন,বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান’র চাচাতো ভাই আওয়ামিলীগ নেতা দেওয়ান আশিদ রাজা চৌধুরী।
অন্যদিকে কৌশলে প্রচরনায় এগিয়ে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল হক জুয়েল।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে
দোয়ারাবাজার উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পাইনি। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিলে তারপর বলতে পারব।
জামায়াতে ইসলামীর দোয়ারাবাজার উপজেলা আমীর ডাঃ হারুন অর-রশীদ জানান, জামায়াত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সামছুল হক নমু জানান, এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচন করবে না। কেউ যদি নির্বাচনে যান, তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ইদ্রীস আলী বীরপ্রতীক বলেন, ‘কাউকে দলীয়ভাবে প্রার্থী করা হবে না। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে প্রার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা অনুযায়ী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে।
সারাদেশসংবাদ/হা