পৃথিবীর আকৃতির নতুন গ্রহ আবিষ্কার
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৩, ৬:১৬ অপরাহ্ণপৃথিবীর আকৃতির সমান নতুন আরো একটি গ্রহের আবিষ্কার করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। বুধবার (১৭ মে) তৃতীয় গ্রহটির সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি জানান তারা।
মিল্কিওয়ের পাশের একটি গ্যালাক্সিতে একটি তারার চারপাশে প্রদক্ষিণরত গ্রহটি অসংখ্য সক্রিয় আগ্নেয়গিরি দিয়ে ঢাকা। মিল্কিওয়ের পাশের গ্যালাক্সিতে বিশেষ ওই তারার পাশে এর আগে আরো দুটি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে।
নতুন এ গ্রহের নাম দেয়া হয়েছে এলপি ৭৯১-১৮ডি। গ্রহটি আগ্নেয়গিরিতে আচ্ছ্বাদিত। আর এই আগ্নেয়গিরিগুলো অনেকটাই বৃহস্পতির চাঁদ আইওতে থাকা আগ্নেয়গিরির মতো হয়ে থাকতে পারে। তবে গ্রহটি পৃথিবীর আকৃতির হলেও এতে জীবন ধারণের কোনো প্রাথমিক চিহ্ন খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি নাসা বা এর সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।
এতে আগ্নেয়গিরির ধারণা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন তার কক্ষপথে বৃহস্পতির চাঁদ আইওর সাদৃশ্য থাকায়। ইউনিভার্সিটি অব কানসাসের পদার্থ ও জ্যোতির্বিদ্যার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ইয়ান ক্রসফিল্ড বলেন, ‘আমরা জানি না সেখানে আদৌ আগ্নেয়গিরি আছে কি না।’
কিন্তু বৃহস্পতির চাঁদ আইওর কক্ষপথের কারণেই সেখানে আগ্নেয়গিরি দেখা যায়। আর একই রকম কক্ষপথ রয়েছে এলপি ৭৯১-১৮ডি নামক এক্সোপ্ল্যানেটে।’ এক্সোপ্ল্যানেটটি নিজ অবস্থানে ঘোরে না, অর্থাৎ এক স্থানে সব সময় দিন থাকে ও অপর স্থানে সব সময় রাত, আইওর অবস্থানও এমন।
সে কারণেই ভাবা হচ্ছে, এক্সোপ্ল্যানেটটি আগ্নেয়গিরিতে আচ্ছ্বাদিত। পৃথিবীতে সক্রীয় আগ্নেয়গিরি থাকলেও আমাদের সৌরজগতে প্রদক্ষিণরত সবগুলো গ্রহ ও চাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি আছে এই আইওতেই।
গ্রহটিকে খুঁজে পেতে জ্যোতির্বিদরা নাসার গ্রহ খুঁজে বের করার ‘ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট’, স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ ও অন্যান কিছু স্থলভিত্তিক টেলিস্কোপ থেকে সংগৃহীত ডেটা ব্যবহার করেছেন।
নেচার জার্নালে এ-সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। নাসার একটি ভ্যারিফায়েড টুইটার পেজ থেকেও বুধবার (১৭ মে) এক টুইটবার্তায় নতুন এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এলপি ৭৯১-১৮ডি এক্সোপ্ল্যানেটটির অবস্থান পৃথিবী থেকে ৯০ আলোকবর্ষ দূরে ক্রেটার নক্ষত্র মণ্ডলে। এটি একটি লাল বামন নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরছে। আলো সেকেন্ডে ৩ লাখ ৮ হাজার কিলোমিটার বেগে ছোটে। এই আলোই এক বছরে যতো দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে, তাকেই এক আলোকবর্ষ বলা হয়।
গবেষণা প্রবন্ধে আরো বলা হয়েছে, এর পাশাপাশি আরো দুটি এক্সোপ্ল্যানেটও একই নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরছে, যার আকৃতি খুব সম্ভব পৃথিবী থেকে ২০ শতাংশ বেশি।
ফিচার/আবির