সরকারি অফিসের সময় কমানোর বিষয়ে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০২২, ৮:২৫ অপরাহ্ণজ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি অফিসের সময় দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার বিষয়ে প্রস্তাব থাকলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে যুগান্তরসহ আরও তিনটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সরকারের এমন পরিকল্পনার কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদি আমরা দেখি যে, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে তাহলে অফিস টাইম কমানোর প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করি। আর যদি দেখা যায় চলমান উদ্যোগ কাজে আসছে না, তখন আমরা অফিস সময় পরিবর্তনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।
তিনি বলেন, সরকারি অফিসের সময় দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার বিষয়টি এখনো আলোচনা-পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আসবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হলেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত যেভাবে অফিস চলছে সেভাবেই চলবে। তবে পরিস্থিতি জটিল হলে তখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতার স্বার্থে কাজের গতি আমরা কমাতে চাই না। কাজ চলবে, সঙ্গে সাশ্রয়ীও হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা। সেটা যদি অফিস সময়সূচিতে পরিবর্তন না এনে অর্থাৎ সার্বক্ষণিক খোলা রেখে করা যায় তাতে তো কোনো সমস্যা নেই। যদি দেখা যায় বৈশ্বিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে তাহলে আমাদের আরও সাশ্রয়ী হতে হবে। তখন পরিস্থিতি বুঝে আমরা অফিস সময়সূচি কমিয়ে আনতে পারি। ভার্চুয়াল অফিস চালু করতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন সতর্ক হওয়ার সময়। শুধু সরকারি পর্যায়ে অফিস আদালতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করলে হবে না, দেশের সবাইকে এই কাজ করতে হবে। আপনার বাসার অপ্রয়োজনীয় বাতি নিভিয়ে রাখতে হবে। সবার চেষ্টাতেই আমরা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।
মন্ত্রণালয়গুলোকে কোনোরকম লিখিত বার্তা দেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, না সেরকম এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি। তবে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের বৈঠকের পর এরকম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সব সচিবদের বলব তারা যেন নিজ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের দিকে বিশেষ নজর দেন। সব জায়গায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে কি না- সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী তার বিশ্রাম রুমের লাইট বন্ধ থাকার দৃশ্য সাংবাদিকদের দেখান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সচিবদের নির্দেশনা নয়, দেশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। যাতে করে প্রতিটি দপ্তরে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সতর্ক হতে হবে।
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, আমরা চাই সব কাজ স্বাভাবিক রাখতে যতক্ষণ পর্যন্ত রাখা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক রাখব। পরে প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেব। মনে রাখতে হবে, সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। অসময়ে করলে হবে না।
‘সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়’ শীর্ষক প্রবাদের উদাহরণ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। আশা করি, এতে ভালো ফলাফল আসবে। কারণ সামনে শীতকাল আছে। এই সমস্যায় আমাদের বেশিদিন থাকতে হবে না।
জাতীয়/হান্নান