কয়েকদিনে বাজারে বেড়েছে চালের দাম

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৭:৩১ অপরাহ্ণসিলেটের কন্ঠ ডেস্ক:
মোটা চালের সরবরাহ কম হওয়ায় চালের বাজারে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে গত কয়েকদিনে বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এতে চাপ পড়েছে সব ধরনের চিকন চালের ওপর। জানা গেছে, বাজার ভেদে প্রতিকেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৬ টাকা। ৫৪ টাকা কেজি দরের মাঝারি মানের মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। আর ৫৬ টাকা কেজি দরের নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা করে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে চিত্র তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চালের এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কোনও ধরনের কারসাজি নেই। চালের দাম বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, প্রথমত, চালের চলতি মৌসুম শেষের দিকে। দ্বিতীয়ত, এবার সারাবছর কেটেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে। প্রথমে হলো শিলাবৃষ্টি। এরপর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ছোবল। তারপর দেশের ৩৩ জেলাজুড়ে বন্যা, যা এখনও চলছে। এছাড়া বছরজুড়ে কোভিডের তা-বতো রয়েছেই। এর বাইরে এবছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেশি। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণে বাজারে ধানের সরবরাহ কমে গেছে বিধায় দামও বেশি। ধানের দাম বেশি হলে চালের দাম বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক, এমন দাবি ব্যবসায়ীদের।
রাজধানীর চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিনিকেট চালের দাম বাড়লে তা সব ধরনের চালের দামের ওপরে প্রভাব ফেলে। কারও কারও অভিযোগ, মিনিকেট চালের দাম বাড়ানোর পেছনে এই চালের উদ্ভাবক কুষ্টিয়ার আব্দুর রশিদ দায়ী, যিনি ‘মিনিকেট রশিদ’ নামে পরিচিত। আব্দুর রশিদ তার মিনিকেট চালের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে আব্দুর রশিদ বলেন, গত ছয় মাসে আমরা মিনিকেট চালের দাম বাড়াইনি। বাজারে যদি আমার মিনিকেট চালের দাম বেড়ে থাকে, তাহলে তা অন্য কারও কারসাজিতে বেড়েছে। যা আমি জানি না।তবে বাজারে ধানের সংকট রয়েছে। কারণ, সিজন শেষ। এতে চালের বাজার কিছুটা বাড়তি হতে পারে। সরবরাহ কমে গেলে ধানের দামও বাড়ে। আর ধানের দাম বাড়লে চালের দামও বাড়বে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র হিসাবে, গত এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ২৭ শতাংশ। চিকন চালের দামও বেড়েছে ১৪ শতাংশ। মাঝারি মানের বিভিন্ন চাল বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪৮ থেকে ৫৩ টাকা। আর প্রতিকেজি চিকন মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে বাজারভেদে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা। টিসিবির হিসাবে, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এখন মাঝারি মানের চালের দাম ৯ শতাংশ ও সরু চালের দাম ১৫ শতাংশ বেশি।
টিসিবির তথ্যমতে, শুধু চালই নয়, ডাল, তেলসহ সব ধরনের পণ্যের দাম এখন বাড়তি। সরকারি এই সংস্থা জানায়, গড়ে ২০টি পণ্যের মধ্যে ১৭টি পণ্যের দামই বেশি ও বাড়তি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়তে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা।
এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের বাজার নিয়ে কেউ কারসাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। তাই চাল নিয়ে কোনও ধরনের কারসাজি সরকার বরদাশত করবে না। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।
. . . . . . . . .