‘আল আকসা’ মুসলমানদের স্থাপনা : ইউনেসকো

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণপ্রথম কিবলা পবিত্র আল আকসা মসজিদকে মুসলমানদের মালিকানাধীন স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। ইসরায়েলের ব্যাপক সমালোচনার মুখেই বুধবার এ প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়। প্যারিসে এ সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১০টি দেশ। ভোটদানে বিরত থাকে ৮টি দেশ এবং প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় ২টি দেশ।
বহু বছর ধরেই পবিত্র আল আকসা মসজিদ ও বায়তুল মুকাদ্দাস শহরের মালিকানা নিয়ে বিতর্ক চলছিল। ২০০০ সাল থেকে আল আকসা’র দখল নেয় ইসরায়েল। জাতিসংঘ দখলে থাকা এ অঞ্চলটিকে অধিকৃত অঞ্চল বলে মনে করে। নিরাপত্তা পরিষদ এ অঞ্চল থেকে ইসরাইলকে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তে ফিরে যেতে বলেছে বহু বছর আগেই। তবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জোরপূর্বক বসতি স্থাপন করে চলেছে তেল আবিব।
ইসরায়েল চায় বায়তুল মুকাদ্দাস শহরটিকে রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হোক। অন্যদিকে আল আকসা মসজিদ ও বায়তুল মুকাদ্দাসের পূর্বাঞ্চলকে ফিলিস্তিনিরা তাদের রাজধানী করতে চায়। ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত ইন্তেফাদার শুরুতেই জানিয়েছিলেন আল আকসা ছাড়া ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড চিন্তাও করি না।
ইউনেসকো’র গৃহীত প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি এ সিদ্ধান্তকে ‘হতাশাজনক এবং ভুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ইউনেসকো’র এ প্রস্তাব সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের সহায়তার পথ প্রশস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান জানায়, প্রস্তাবে আল আকসা মসজিদ ও আশপাশের এলাকাকে ইসলামী নাম ‘হারাম শরিফ’ বলে উল্লেখ করেছে ইউনেসকো। ইহুদিদের দাবি অনুযায়ী ‘টেম্পল মাউন্ট’ বা ‘উপাসনা-পর্বত’ নামের কোনো উল্লেখ করা হয়নি।
https://youtu.be/e8h3sb4o95w . . . . . . . . .