বুকে ও মাথায় আঘাতে রাবি ছাত্রের মৃত্যু [ভিডিও]

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৩৬ অপরাহ্ণরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুকে (২১) হত্যা করা হয়েছে।
সুরতহাল পর্যবেক্ষণের পর পুলিশ এবং ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের বক্তব্যে হত্যাকাণ্ডে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানাবে চিকিৎসক ও পুলিশ।
ময়নাতদন্তকারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এনামুল হক জানান, তার মাথায় ব্যাপকভাবে ফ্র্যাকচার হয়েছে। বুকের উপরের দিকে দুইপাশে একটি করে হাড় ভেঙে গেছে। হাত-পায়েও আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তাকে আঘাত করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আমির জাফর বলেন, ‘সুরতহাল পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, এটি হত্যাকাণ্ড। তার মাথার পেছনে ঘাড়ের উপরের দিকে এবং বুকে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। হাত-পায়ের কয়েক জায়গা থেকেও হালকা রক্তক্ষরণ হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের ডাইনিং কক্ষের পেছনের ড্রেন থেকে লিপুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মোতালেব হোসেন লিপু ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মকিমপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। নবাব আবদুল লতিফ হলের ২৫৩ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
এদিকে হত্যার ঘটনায় লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলাম এবং হলের ১৪১ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র প্রদীপকে আটক করেছে পুলিশ।
মনিরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিববিজ্ঞান বিভাগে এবং প্রদীপ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তাদেরকে নগরীর মতিহার থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, লিপু তার দুইটি সিম ব্যবহার উপযোগী মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। তবে লাশ উদ্ধারের পর তার কাছে এবং কক্ষে কোথাও মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ গোপন সূত্রে খোঁজ পেয়ে হলের ১৪১ নম্বর কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে প্রদীপের কাছ থেকে লিপুর নামে ইস্যুকৃত সিম কার্ড উদ্ধার করে। এসময় প্রদীপকে আটক করে পুলিশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার একরামুল হক বলেন, সন্দেহভাজন আটক দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল ও লিপুর কক্ষ থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে।
লিপুর মামা মুন্না জানান, মঙ্গলবার লিপু পূজার ছুটি শেষে বাড়ি থেকে রাজশাহীতে আসে। এরপর দু’একবার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। লিপুকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের দাবি জানান তিনি।
এদিকে বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় তার স্বজনরা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি উদ্দেশে রওনা দেয়।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মকিমপুর গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
https://youtu.be/Zt_qxkMh1e4 . . . . . . . . .