লালাদীঘিরপারে প্রবাসীর স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করে বাসায় তালা মারলো সন্ত্রাসীরা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ১১:৪৯ অপরাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীর লালাদীঘিরপারে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের মারধর করে বাসা থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘরের বাইরে রাত কাটাচ্ছে অসহায় পরিবারটি।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে সিলেট নগরীর পশ্চিম লালাদীঘিরপারস্থ ইটালী প্রবাসী নুরুল ইসলামের বাসায় ৮৩ নং বাসায়- লাঠিসোটা,দ্যা ও রামদা নিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ভয়ে গ্রীলের ভেতর তালা লাগিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু সন্তানরা বাসার ভেতরে ঢুকে পড়েন। সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত ঘরের তালা ভেঙ্গেঁ ভেতরে প্রবেশ করে নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাসমিনা আক্তার কে মারধর করে। শিশু সন্তানদের চর-থাপ্পর দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি শাররিকভাবে লাঞ্চিত করে। মারধর করে ধাক্কা দিয়ে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। এরপর জোর করে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। আর যেন ঘরে প্রবেশ না করে হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে নির্যাতন ও মারধরের শিকার তাসমিনা আক্তার বলেন, দুপুরে দিকে ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরের তালা ভেঙ্গে জোর করে প্রবেশ করে। আমাদের বের করে দেয়। শিশুরা ঘরের বাইরে না যেতে চাইলে তাদেরও মারধর করে। এই সময় সন্ত্রাসীদের নেতৃত্ব দেয় যুক্তরাজ্য প্রবাসী নজরুল ইসলাম। যিনি সম্পর্কে আমার ভাসুর হন। জায়গা নিয়ে বিরোধ থাকলে মিমাংসা না করে এভাবে হিংস্র আক্রমন কোন সভ্য দেশে আছে কিনা জানিনা। আমার শিশু সন্তানদের নিয়ে এখন কোথায় যাবো? আমি কাল মামলা করবো।
এ বিষয়ে লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই বেনু বলেন, লালাদীঘিরপাড় ৮৩ নং বাসায় কোন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি। এটি দুই ভাইয়ের মধ্যে জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধ থেকে হয়েছে। তালা ভেঙ্গেছে এলাকার ময়মুরুব্বীরা। তাই আমার জানামতে কোন সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য কাউন্সিলর ঝলকের অফিসে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য হামলাকারী নজরুলের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। . . . . . . . . .