খাদিজার উপর হামলাকারী বদরুলের ফাসির দাবিতে তেমুখি পয়েন্টে মানববন্ধন
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০১৬, ৯:৪২ অপরাহ্ণসিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের ছাত্রী খাদিজার উপর হামলাকারী (শাবি)ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক বদরুলের ফাসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ৬নং টুকের বাজার ইউনিয়নবাসী। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬নং টুকের বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ শহীদ আহমদ। মানববন্ধনটি তেমুখি পয়েন্টে থেকে শুরু হয়ে বাইপাস পর্যন্ত প্রচুর লোকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। উক্ত মানববন্ধনে সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক হেলাল আহমদ মাছুমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন খাদিজার বাবা মাসুক আহমদ,এনাম হুসেন, সিলেট মহানগর ৭,৮ও৯নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের সমন্বয়কারী আজিজ খান সজীব,মহানগর ৮নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রাসেল আহমদ খান,রুবেল আহমদ,মোঃমাফির আলী, শাহ খুররম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসকে শাহীন,জালালাবাদ থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল হক,ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম,সোহেল আহমদ, মানববন্ধনে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন ছাত্রলীগ নেতা বদুরুল খাদিজাকে যে ভাবে কুপিয়েছে তাতে গোটা জাতি আজ মর্মাহত। তিনি আরও বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন হামলা জাতিকে কলংকিত করেছে এবং বদরুল কে যেন ফাসি নিশ্চিত করার হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। অন্যানের মাঝে যারা উপস্থিত ছিলেন আজকের মানববন্ধনের আয়োজন কারী রাসেল আহমদ,মোঃমিজানুর রহমান,মোঃমাহবুব,আলামিন,মোঃমারুফ,মোঃহাফিজ আহমদ,মোঃনাছিম আহমদ, মোঃশাওন,ইফতি,সুহেল, মনোয়ার হুসেন,এনাম সহ নেতৃবৃন্দ। প্রসঙ্গত,সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার নার্গিসের বাড়িতে লজিং থাকত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম। নার্গিসকে বার বার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে সোমবার বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর এমসি কলেজ মসজিদের পেছনে মানুষের সামনে চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে বদরুল। নার্গিসের চিৎকার শুনে এগিয়ে যায় স্থানিয় জনগন। তারা নার্গিসকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। নার্গিসকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
. . . . . . . . .